খুলনায় থাকাকালীন দিনে চারটি টিউশনি করতেন। আর এই টিউশনির টাকা দিয়ে নিজে চলতেন আর কিছু টাকা বৃদ্ধ বাবাকে দিতেন। স্নাতকোত্তর পাস করে সোহেল ঢাকায় আসেন ভালো কিছু করার আশায়। নতুন পরিবেশে সবকিছুই নতুন কিন্তু ভালো কিছু করতে হবে এই দৃঢ় প্রত্যয়ে তিনি অবিচল থাকেন, ঢাকায় এসে মনেপ্রাণে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। দিনের অধিকাংশ সময়ে পাব্লিক লাইব্রেরিতে থাকতেন পড়াশোনা করতেন তিনি। আর রাতে একটি কোচিং এ ক্লাস নিতেন কিন্তু কোচিংয়ে ক্লাস বেশী দিন নিতে পারেনি।
এক সময় বাধ্য হয়ে রাতের কিছুটা সময় রিকশাচালান নিজের খরচ ও পরিবারের খরচ মেটানোর জন্য। অনেক সময় মেসের ভাড়া কিংবা খাওয়ার টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারেননি। এইজন্য অনেক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি সোহেল। সদ্য প্রকাশিত ৩৪ তম বিসিএস পরিক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে তার নাম আসেনি তাই বলে তিনি হতাশ হননি।
সামনে লক্ষ্য ৩৫ তম বিসিএসের লিখিত পরিক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা। কিন্তু ইতোমধ্যে সোহেল একটি সুখবর পেয়েছেন কিছুদিন আগে পিএসসি থেকে প্রকাশিত নন ক্যাডারের তালিকায় তার নাম এসেছে। সোহেল জানান, কষ্টের ফল তিনি পেয়েছেন তবে তার মুল লক্ষ্য ৩৫ তম বিসিএস। ৩৫ তম বিসিএসে তিনি শিক্ষক হতে পারবেন। এমনটাই প্রত্যাশা তার।