বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, আজীবন ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ নতুন নতুন আইন করছে, সংবিধান সংশোধন করছে। নির্বাচনের নামে তারা ভোট কেন্দ্র দখল করে জোর করে নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী করছে। আর তাদের সহযোগিতা করছে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন।
রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রায় দুই বছর তিন মাস পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোনো সমাবেশে বক্তব্য রাখলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
সরকার দেশের মানুষকে মানুষ মনে করে না অভিযোগ করে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হবে। তিনি বলেন, মে দিবসে থেকে শিক্ষা নিতে হবে। রক্ত দিয়ে তারা অধিকার আদায় করেছে। আজ শ্রমিকরা মোটেও ভালো নেই। আজ তারা নির্যাতিত।
খালেদা জিয়া বলেন, রানা প্লাজা ধসে শ্রমিক মারা গেল। এখনো পর্যন্ত অনেককে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। রানা প্লাজার জন্য অনেক টাকা তোলা হয়েছে। এসব টাকা কোথায় গেল? শ্রমিকরা কেন সে টাকা পেল না।
সাত বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাচার আওয়ামী লীগের সাত বছরের ক্ষমতায় ৩০ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের মানুষের কষ্টের টাকা পাচার হলে কীভাবে উন্নয়ন হবে? উন্নয়নের নামে প্রকল্প নিয়ে সে টাকা লুটপাট করা হয় বলেও দাবি করেন খালেদা।
খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি রাজপথে মানুষের সঙ্গে রয়েছে। যারা জনগণকে ভয় পায়, তারা ঘরে বসে মে দিবস পালন করছে। তারা কাঁচের ঘরে বসে ষড়যন্ত্র করে। তারা ষড়যন্ত্রকারী। শুধু স্লোগান দিলে হবে না, দেশে কী হচ্ছে না হচ্ছে খবর রাখতে হবে।
এরা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত কি না- এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এরা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে আর শুধুমাত্র লুটপাট করছে। আর যাতে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারে সেজন্য সকল দল বন্ধ করে দিয়ে একটি দল রাখছে।
খালেদা জিয়া বলেন, মানুষ আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে না। কিন্তু এই বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ মনে করে পৈত্রিক সম্পত্তি। তারা দখল করে, জবরদস্তি করে ক্ষমতায় আছে। তাই আজকে তারা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে চায়। এখানে সাংবাদিক ভাইয়েরা আছেন, যারা জানেন কীভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা, পৌরসভা, মেয়র সবগুলো এখন পদদখল করে, নিজেরা সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে নির্বাচিত হন। তাদের সহযোগিতা করে নির্বাচন কমিশনাররা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.