ভাষা- সে তো কত রকমেরই হয়! পৃথিবীর সেই জন্মলগ্ন থেকে একের পর এক নতুন নতুন সব ভাষা বানিয়ে চলেছে মানুষ। করেছে সেই ভাষার নানারকমের বিবর্তন, বিবর্ধন। পাল্টাতে পাল্টাতে একটা সময় নিজের আদিম গন্ধটাও গা থেকে একেবারে মুছে ফেলে আনকোরা এক ভাষায় রূপ নিয়েছে অনেকে। অনেক ভাষা আবার জন্ম দিয়েছে আরো হাজারটা ভাষার। কিন্তু এত যুগ পেরিয়ে এসেও যেই ভাষাটা একদম একই রয়ে গিয়েছে, যাকে পাল্টানো যায়নি একেবারেই সেটা হল শরীরের ভাষা।
শব্দ ছাড়া এই একটা ভাষাতে সেই আদিম যুগ থেকেই একে অন্যকে ইশারায় কথা বুঝিয়েছে মানুষ। যুগে যুগে নানা প্রয়োজনে ব্যবহার করেছে ইচ্ছেমতন। তবে এই শব্দহীন কথাগুলোর ভেতরেও অনেকগুলো আছে যার মানে খুব কম মানুষই জানেন। আসুন জেনে নিই।
ভ্রু সাধারণত কাউকে চিনলে বা কাউকে আভিবাদন জানাতেও উঁচু করি। তবে মানবচরিত্র বিশেষজ্ঞ আইরেনাস এইবেল এইবেসফেল্ডথের মতে ভ্রু উঁচু করা মানে হচ্ছে কাউকে চিনতে পারার লক্ষণ।
গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে যে নারীদের চোখের মণি বড় তাদেরকে সবচাইতে আকর্ষণীয় লাগে। প্রাচীন মিশরে নারীরা বেললাডোনা নামের বিষ তাদের মণিতে প্রবেশ করাতো কেবল চোখের মণি বড় করবার জন্যে।
মানুষ যখন তার দুই হাত সুষম ভাবে উপরে উঠিয়ে বাটির মতন আকৃতি নেয় তখন সেটা দ্বারা বোঝায় যে সে সামনের মানুষটিকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। বোঝাতে চাইছে যে – ঠিক আছে! আমি বুঝে ফেলেছি। যে যেভাবেই করুক না কেন, প্রতিক্রিয়াটি সবার মনে ইতিবাচক একটা দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে তোলে।
পল এ্যাকমেন নকল আর আসল হাসির ভেতরে পার্থক্য করতে সক্ষম হয়েছেন। আর এই প্রক্রিয়াটি করার মাধ্যম হচ্ছে চোখ। একজন মানুষ সত্যিই হাসলে তার চোখ ছোট হয়ে যাবে। অন্যথায় সেটা স্বাভাবিক আকৃতিতেই থাকবে। আর সেটা হলে বুঝতে হবে মানুষটি আসলে হাসছে না বা আনন্দ পাচ্ছেনা।
শক্ত করে বন্ধ মুষ্টি সামনের বিষয়টি যা নিয়ে কথা বলা হচ্ছে সেটা সম্পর্কে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেটা ইতিবাচকভাবে প্রকাশ করে। সাবেক আমেরিকান রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটনও এই ব্যাপারটি অনুকরণ করতেন বক্তৃতার সময়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.