সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশবাসী জানতে চায়, কত দামে ভারতের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিক্রি করে দিয়েছেন?’ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস
ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘মোলিক অধিকার, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট’- শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এমন প্রশ্ন রাখেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বাধীনতা ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে। সরকার দিন দিন দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করে দিচ্ছে এমন অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকার ভারতকে ট্রানজিট দিচ্ছে। এটা ট্রানজিট নয়, এটা করিডোর। মাত্র ১৮৮ টাকার সামান্য ফি দিয়ে এই সুবিধা দেয়া হচ্ছে ভারতকে। আসলে এটা ফি না, আসল ফি হচ্ছে- ভোটারবিহীন সরকারকে সমর্থন ফি।’ সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মিথ্যা মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রুহুল কবির রিজভী। এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আসলাম চৌধুরীর নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়া হলো। অথচ ভারতে বসে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই হয়নি। ষড়যন্ত্রের প্রশ্নই আসে না। কারণ, বিএনপি ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তাছাড়া ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদিও এটা পরিষ্কার করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। তারা বাংলাদেশের ভোটারবিহীন সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তারাই মোসাদকে তাদের দেশে এনে সভা করেছে। এ জন্য সরকার তাদের বিরুদ্ধে বন্ধুপ্রতীম প্রতিবাদ করতে পারতো। কিন্তু সেটা করা হয়নি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির কোনো নেতা আজ যদি ফরিদপুরে কোনো অনুষ্ঠানে যান, আর কালকে যদি আওয়ামী লীগ বলে, সেখানে বসে ওই নেতা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছে- তা কেউ বিশ্বাস করবে? এ কথা যেমন কেউ বিশ্বাস করবে না, তেমনি ভারতে বসে আসলাম চৌধুরী ষড়যন্ত্র করেছে- এ কথাও কেউ বিশ্বাস করে না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরকার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’ প্রসঙ্গত, সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশান থানায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিদায়ী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.