মালয়েশিয়ার রোড ট্রান্সপোর্ট বিভাগের সংবাদ সম্মেলনে উপপরিচালক (অভিযান) মুহাম্মদ কিফলি হাসান এবং অভিযুক্ত ছাত্ররা। ছবি : নিউ স্ট্রেইট টাইমস
মালয়েশিয়ার সাইবারজায়ায় এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ব্যবসা করে মাসে ২৫ লাখ টাকা করে আয় করেছেন। এক বছর ধরে তিনি একই পরিমাণ অর্থ আয় করতেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। গত বছরের ২৭ নভেম্বর দেশটির রোড ট্রান্সপোর্ট বিভাগের এক বিশেষ অভিযানে তাদের এই অবৈধ কার্যক্রম ধরা পড়ে।
পুলিশের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রেইট টাইমস জানায়, অবৈধ গাড়ি ভাড়ার ব্যবসা করে বাংলাদেশিসহ তিন বিদেশি ছাত্র মাসে এক লাখ ২৬ হাজার রিঙ্গিত করে আয় করতেন। যা দেশটির পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবাক করেছে। বাংলাদেশি ছাড়াও একজন নেপালি এবং পাকিস্তানি ছাত্র এই অবৈধ গাড়ি ভাড়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এদের সবারই বয়স ২০ থেকে ২২ এর মধ্যে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে দেশটির রোড ট্রান্সপোর্ট বিভাগের উপপরিচালক (অভিযান) মুহাম্মদ কিফলি হাসান বলেন, ‘এই তিনজন ভেবেছিল কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও তাঁদের কিছু হবে না। কারণ এক বছর ধরেই তারা এটি করে আসছিল।’
গত শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপপরিচাল বলেন, ‘এই ছাত্ররা ভিন্ন নামে স্থানীয় গাড়ি ব্যবসায়ীদের কাছে ৩০টি গাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। এদের মূল টার্গেট ছিল সাইবারজায়ার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীরা এবং তাঁদের স্বজনরা। তাঁরা এই দেশে এলে ভ্রমণ এবং অন্যান্য কাজে এই শিক্ষার্থীরা গাড়ি ভাড়া দিত।’
কিফলি বলেন, ‘সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ সন্দেহবশত তিনটি গাড়ি জব্দ করলে ছাত্রদের এই অবৈধ কাজ ধরা যড়ে যায়। এর আগেই সাইবারজায়ায় এ ধরনের অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ চলে আসছিল। আমাদের ধারণা এ ধরনের অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে আরো অনেকেই জড়িত।’ কিফলি আরো জানান, মালয়েশিয়ার রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৮৭-এর ধারা ২৩ (২)-এর অধীনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা এক হাজার থেকে থেকে ১০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.