ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, এ ধরনের হামলার একটাই অর্থ। আর তা হলো, সব নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধকে চূড়ান্তভাবে অস্বীকার করা।
এই হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান সোনিয়া গান্ধী। পাশাপাশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে, ভয়ঙ্কর এই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ শনিবার তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে তৃণমূলের দলীয় সাংগঠনিক এক বৈঠকে বলেন, ‘ওই ঘটনা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে।’
পরে এদিন সন্ধ্যায় মমতা টুইট করে বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা জঙ্গি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। পবিত্র রমজান মাসে শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করছি। আমরা জঙ্গিবাদের তীব্র নিন্দা করছি এবং জঙ্গিবাদকে ধিক্কার জানাই।’
মমতা আরো বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের কোনো সীমানা নেই। ধর্ম নেই। এই ধরনের অমানবিক জঙ্গিদের আমাদের সমবেতভাবে পরাজিত করতে হবে। তবেই মানবিকতার জয় হবে।’
গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশান ২ নম্বর সেকশনের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। সেখানে তারা দেশি-বিদেশিদের জিম্মি করে রাখে। সন্ত্রাসীদের নিবৃত্ত করতে গিয়ে রাতে নিহত হন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন এবং সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম। এ ছাড়া এ সময় আহত হয় অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা।
আজ সকালে জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযান শেষে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী জানান, গুলশানের হলি আর্টিজান থেকে ২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের সবাইকে গতকাল শুক্রবারই রাতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। অভিযানে সাত সন্ত্রাসীর মধ্যে ছয়জন নিহত হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.