প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা
১১তম এশিয়া-ইউরোপ শীর্ষ সম্মেলনে (আসেম) যোগ দিতে মঙ্গোলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে।
বিমানবন্দরে মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য ও সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
বার্তা সংস্থা বাসসের খবরে বলা হয়, আগামীকাল ১৫ জুলাই, শুক্রবার ও পরশু ১৬ জুলাই, শনিবার উলানবাটোরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আসেম হচ্ছে এশিয়া ও ইউরোপের ৫১টি দেশ ও দুটি আঞ্চলিক সংস্থার একটি ফোরাম। আরো বেশি ভারসাম্যপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈশ্বিক শৃঙ্খলা অর্জনের লক্ষ্যে ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে প্রয়োজনীয় সব পর্যায়ে সম্পর্ক গভীর করতে এটি গড়ে তোলা হয়েছে।
মঙ্গোলিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম এবং মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ ও অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ পি সাগান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রাসহকারে আসেম ভিলায় নিয়ে যাওয়া হবে। এখানেই তিনি দুদিনের সফরকালে অবস্থান করবেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। মাংরিলা হোটেলের সম্মেলনস্থলে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানাবেন মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট তাসখিয়াজিন এলবেগদর্জ।
শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম ও দ্বিতীয় পূর্ণ অধিবেশনে অংশ নেবেন এবং আসেম অংশীদারত্ব ও যোগাযোগ বিষয়ে বক্তব্য দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সুইস প্রেসিডেন্ট জন স্কনেইদার, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ও ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেন্তিলোনির সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী অতিথিদের সম্মানে আসেম ভিলেজের মঙ্গোলজেনে মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে এক ভোজসভায়ও অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াও, ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি ডোনাল্ড টাস্ক ও ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি জেন ক্লাউড জুনকারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি আসেম নেতাদের সমাপনী অধিবেশনেও অংশ নেবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় এসব বৈঠকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশে সাম্প্রতিক দুটি সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবিলায় সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের বিষয় তুলে ধরবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আসেম সদস্য দেশগুলো হচ্ছে—অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বাংলাদেশ, বেলজিয়াম, ব্রুনাই, দারুস সালাম, বুলগেরিয়া, কম্বোডিয়া, চীন, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, কাজাখস্তান, লাও পিডিআর, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মাল্টা, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, কোরিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনাম। দুটি আঞ্চলিক সংস্থা হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আশিয়ান। বাংলাদেশ ২০১২ সালে এই ফোরামে যোগ দেয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.