কারাগার চোর, ডাকাত ও মামলার আসামিদের আটক রাখার স্থান হিসেবেই পরিচিত। তবে পাল্টাচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি। আর প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে বন্দিদের কর্মমুখী করার কাজ চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে এ জন্য নানা কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা কারা অভ্যন্তরে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সবজি বাগান চাষকেই বেছে নিয়েছেন। বাগান করার মাধ্যমে গোটা কারা পরিবেশকেই বদলে দেওয়া হচ্ছে। সবুজ সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে অন্য রকম এক পরিবেশ কারা অভ্যন্তরে।
কারাগার হোক সংশোধনাগার—এ দৃষ্টিভঙ্গি সামনে রেখে পরিচালিত হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার। বিভিন্ন মামলার আসামিরা প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করছেন সবজি বাগানে। বিশাল কারাগারের পরিত্যক্ত ভূমিতে প্রশিক্ষিত, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মাধ্যমে বছরজুড়ে চলছে সবজির চাষাবাদ। এর মাধ্যমে বছরে সরকারের লাখ লাখ টাকা সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি বন্দিরা সংশোধন হচ্ছে। কাজের দিকে মনোনিবেশ করছে। পাচ্ছেন মাসিক সম্মানী। রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ—এ মনমানসিকতা নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার।
শহরতলির উরশী উড়ায় ১৭ একর জমির ওপর এ কারাগার প্রতিষ্ঠিত। প্রথম শ্রেণির এ কারাগারে বন্দির সংখ্যা এক হাজার ৯৮ জন। নারী বন্দি রয়েছেন ৫১ জন। তাঁদের সঙ্গে থাকা শিশুদের জন্য রয়েছে দিবাযত্ন কেন্দ্র।
স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে এখানে বন্দিদের কৃষি, ইলেকট্রনিকস, সেলাই ও নরসুন্দর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দুজন প্রশিক্ষকের মাধ্যমে সপ্তাহে পাঁচ দিন চলে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। বিশাল আয়তনের এ কারাগারে শ্রমিক ও মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের সাহায্যে বিভিন্ন মৌসুমি ফলসহ সবজির চাষ হচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.