ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে একি দশা স্বাগতিক ব্রাজিলের? ফেভারিট হিসেবে অংশ নিলেও এখন পর্যন্ত জয় তো দূরে থাক, একটি গোলও করতে পারেননি নেইমাররা। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ইরাকের বিপক্ষেও সেলেসাওদের স্কোরলাইন থেকে গেছে অভিন্ন। গোলশূন্য ড্র। আর এবারও সমর্থকদের দুয়োধ্বনি শুনতে শুনতে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নেইমার, গ্যাব্রিয়েলদের। ফুটবলে প্রথমবারের মতো স্বর্ণ জয় তো দূরের কথা, টানা দুটি ড্রয়ের পর গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের আশঙ্কা ভর করেছে ব্রাজিল শিবিরে।
‘এ’ গ্রুপের দুই ম্যাচ শেষে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ডেনমার্ক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিল ও ইরাকের ঘরে জমা হয়েছে দুটি করে পয়েন্ট। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলকে খেলতে হবে ডেনমার্কের বিপক্ষে। আর ইরাক খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। শেষ ম্যাচে ডেনমার্ককে হারাতে পারলেও কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারবে না ব্রাজিল। অপর ম্যাচে ইরাক যদি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিতে যায়, তাহলে ইরাকই পেয়ে যাবে শেষ আটের টিকেট। ফলে জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইরাকের হার বা ড্রয়ের প্রার্থনাও করতে হবে ব্রাজিলের সমর্থকদের।
পুরো ম্যাচেই ব্রাজিলের অধিনায়ক নেইমারকে কড়া মার্কিংয়ে রেখেছিলেন ইরাকের ফুটবলাররা। সে সঙ্গে সময় নষ্ট করার মতো অখেলোয়াড়সুলভ আচরণও করতে দেখা গেছে তাঁদের। খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে জয়সূচক গোল করার দারুণ সুযোগ এসেছিল রেনাতো আগুস্তোর সামনে। কিন্তু গোলপোস্টের সামনে একবারে ফাঁকায় বল পেয়েও সেটা জালে জড়াতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার। শট মেরেছেন গোলপোস্টের ওপর দিয়ে।
দুই বছর আগে ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে হারের ক্ষতটা এখনো ভুলতে পারেননি ব্রাজিলের সমর্থকরা। এবার নিজ দেশে আয়োজিত অলিম্পিকেও সেলেসাওরা দাঁড়িয়ে আছে খাদের কিনারে। শেষ পর্যন্ত সত্যিই গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোতে না পারলে এবারের রিও অলিম্পিক একটা লজ্জাজনক অধ্যায় হয়েই থেকে যাবে ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.