যুক্তরাজ্যে হিজাবধারী নারীরা কর্মক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন। ব্রিটেনের হাউস অব কমন্স–এর নারী সুরক্ষা কমিটির প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। নারী সুরক্ষা কমিটির হয়ে এনকর্ট রিসার্চ এই প্রতিবেদনটি তৈরি করে বলেও জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে হিজাবধারী নারীদের ৭১ শতাংশই বঞ্চনার শিকার। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁরা বঞ্চিত। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়, সেই সম্পর্কে সাংসদদের মতামত চাওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের নারীদের ৬৯ শতাংশ কোনো না কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। এঁদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। এই বিপুলসংখ্যক নারী কর্মচারীকে যদি হেনস্তা হতে হয়, তাহলে সেটা দেশের কর্মসংস্কৃতির পক্ষে মোটেও ইতিবাচক ইঙ্গিত নয়।
যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের নারী সুরক্ষা কমিটির প্রধান মারিয়া মিলার বলেছেন, ‘জাতিগত বিদ্বেষ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা প্রয়োজন। ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী ইসলাম ধর্মাবলম্বী নারীদের পূর্ণ অধিকার আছে তাঁদের ঐতিহ্য মেনে পোশাক পরার। তাঁর জন্য হেনস্তা হতে হলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।’ ইসলাম–ভীতি এবং জাতিগত বিদ্বেষের জন্য কাজ করতে চান যাঁরা, সেই মুসলিম নারী ঘরমুখো হয়ে পড়ছেন বলে মনে করছেন তিনি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.