আবহাওয়া সংক্রান্ত সব ধরনের পূর্বাভাস, জলবায়ু প্রক্ষেপণ ও পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা আবহাওয়া অধিদফতরের কাছে থাকবে। অন্য কোনো সংস্থা নিজেরা প্রক্ষেপণ করতে পারবে না। এমন বিধান রেখে ‘আবহাওয়া বিষয়ক আইন, ২০১৬’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে প্রতিরক্ষাবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আইনটি অনুমোদনের জন্য সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে।
এছাড়া বৈঠকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৬, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৬, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৬ এবং খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৬ উপস্থাপন করা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
আবহাওয়া অধিদফতরকে একক ক্ষমতা দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও জনবল নিয়োগের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর নামে একটি অধিদফতর থাকবে। যার প্রধান হবেন একজন মহাপরিচালক। এই অধিদফতর দেশের স্থল, জল ও বায়ুমণ্ডলের সার্বক্ষণিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করবে। প্রায় ২০টির মতো কাজ করতে হবে এ অধিদফতরকে।
জানা গেছে, কৃষিসংক্রান্ত তথ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর দিয়ে থাকে। বৃষ্টিপাত নিয়ে তথ্য সরবরাহ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে পরিবেশ অধিদফতরের একটি সেল।
আবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও নিজস্ব পদ্ধতিতে আবহাওয়ার তথ্য ব্যবহার করে থাকে। সরকারের এমন অনেক সংস্থা আছে যারা নিজেরা আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্যের প্রক্ষেপণ করে। এতে করে সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও তথ্যের বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এসব সমন্বয়হীনতা দূর করতে নতুন আইন করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবহাওয়া অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা জানান, স্বাধীনতার ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের আবহাওয়া পূর্বাভাস ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে কোনো আইন হয়নি। মূলত বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার পরামর্শক্রমে দেশে এই প্রথম আবহাওয়া আইন করা হচ্ছে।
এই আইনের মাধ্যমে অধিদফতর আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেবে। পাশাপাশি কৃষি, নৌযান, জাহাজ চলাচল, নিরাপদ বিমান চলাচলসহ ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী থেকে শুরু করে অতিবৃষ্টি, ভূমিধসের আগাম সংকেত দেবে। এছাড়া অধিদফতর জলবায়ু ও আবহাওয়ার ওপর গবেষণার কাজও করবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.