বাহুবলে নিখোঁজ শিশু সুলতানার লাশ উদ্ধারের ২ দিনের মাথায় সিফাত নামে আরো এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। সে গত রোববার উপজেলা সদরের হামিদনগর মাদরাসা থেকে বাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের এ ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্কুল, মাদরাসায় শিশুদের উপস্থিতিতে প্রভাব পড়ে। গত শুক্রবার উপজেলার হামিদনগর ও উত্তরসুর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে নিখোঁজের ৩ দিন পর ধান ক্ষেতে শিশু সুলতানার লাশ পাওয়া যায়। এর আগে চলতি বছরের ১২ই ফেব্রুয়ারি উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের শুভ, তাজেল, মনির ও ইসমাঈল নামে ৪ শিশু নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিন পর তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি করে। পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হামিদনগর মাদরাসায় সিফাতকে দিয়ে আসেন তার পিতা একই এলাকায় বসবাসকারী সিরাজুল ইসলাম। পরে ওই ছাত্র দুপুরের খাবারের কথা বলে মাদরাসা থেকে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু সে বাসায় যায়নি। এ ঘটনায় দুপুরের পর থেকে সিফাতকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাতে বাহুবল মডেল থানায় জিডি করেন সিফাতের পিতা সিরাজুল ইসলাম। বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদরাসা ছাত্রকে উদ্ধারে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে, নিখোঁজের ৩ দিন পর স্থানীয় উত্তরসুর গ্রামের আফজল মিয়ার কন্যা শিশু সুলতানার লাশ গত শুক্রবার দুপুরে হামিদনগর ও উত্তরসুর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শিশু হামিদনগর এলাকা থেকে কেরোসিন তেল কিনতে এসেছিল। এ ঘটনায় পুলিশ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও শিশুটিকে হত্যার কারণ উদঘাটন হয়নি। অপরদিকে, চলতি বছরের ১২ই ফেব্রুয়ারি বিকালে ফুটবল খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের শুভ, তাজেল, মনির ও ইসমাঈল নামে ৪ শিশু নিখোঁজ হয়। এর ৫ দিন পর পুলিশ গ্রামের পার্শ্ববর্তী ইছাবিলের বালির গর্তে মাটিচাপা অবস্থায় ওই ৪ শিশুর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের আবদুল আলী বাগাল, তার পুত্র রুবেল ও জুয়েল এবং তাদের সহযোগীরা হাজতবাস করছে। পঞ্চায়েতে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ওই শিশুদের হত্যা করা হয় বলে আবদুল আলী বাগালের পুত্ররা আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করে।