বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আট ম্যাচে সাত হার, একটি মাত্র ড্র তাজিকিস্তানের বিপক্ষে। গড়ে ম্যাচপ্রতি গোল হজম করতে হয়েছে চারটি করে! বিধ্বস্ত বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম পর্বের প্লে-অফেও হারের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি। দুই লেগের লড়াইয়ে তাজিকিস্তানের কাছে হার ০-৬ গোলের ব্যবধানে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে এবার ভুটান। ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে বেলজিয়ামের হাই প্রোফাইল কোচ টম সেইন্টফিটকে। তার অধীনেই দ্বিতীয় দফা প্লে-অফ এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে যাওয়ার শেষ সুযোগ উৎরাতে চায় বাংলাদেশ। ৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় প্রথম লেগ, ফিরতি লেগ ১০ই অক্টোবর থিম্পুতে। ম্যাচ দুটি সামনে দু’দিন আগে ৩৩ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন জাতীয় দলের কোচ টম সেইন্টফিট। রোববার সন্ধ্যায় দলের সদস্যরা ক্যাম্পে রিপোর্ট করেছেন। গতকাল শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। প্রাথমিক স্কোয়াডের ৩৩ ফুটবলারের মধ্যে অসুস্থ রুম্মান হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাঁচ ফুটবলার শেখ রাসেলের সঙ্গে এএফসি কাপ বাছাই প্লে-অফ মিশনে ভুটানে আছেন। বাকিরা গতকাল অনুশীলনে ছিল। নতুন করে সেইন্টফিটের দলে সুযোগ পেয়েছে মাহবুব, দিদারুল, মনসুরের মতো তরুণ। আছেন এক সময় সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলের আশা ছেড়ে দেয়া সেন্টু চন্দ্র সেনও। ৩০ বছর বয়সী এ উইঙ্গারের প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পাওয়াটা ছিল বিস্ময়কর। পাশাপাশি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে চলমি মৌসুমে দারুণ খেলতে থাকা মোহামেডানে তৌহিদুল আলম সবুজ মুক্তিযোদ্ধার তৌহিদুল আলম তৌহিদ, চট্টগ্রাম আবাহনীর মো. ইব্রাহিমের বাদ পড়া নিয়ে। সেইন্টফিটের প্রাথমিক দলে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে নিয়মিত একাদশে সুযোগ না পাওয়া রায়হান হাসান ও ঢাকা আবাহনীর নাবীব নেওয়াজ জীবন ঢাকা মোহামেডানের আমিনুর রহমান সবুজের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও অনেকে অবাক হয়েছেন। এরপরও ভুটান ম্যাচকে অস্তিত্ব রক্ষার মিশন হিসেবে দেখছেন তারা। ফুটবলাররাও মানছেন বিষয়টি। অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের মতে, এ ম্যাচ হারলে আমাদের ফুটবল নিয়েই কথা বলার অধিকার থাকবে না। ‘কোনো পর্যায়ের ফুটবলেই ভুটানের কাছে হারতে হয়নি। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এ অবস্থায় পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই। হারটা হবে চরম লজ্জার। তখন খেলাটি নিয়ে কথা বলার অধিকারও হারাব আমরা। দ্বিতীয় দফা প্লে-অফ সম্পর্কে গতকাল হোটেলে বসে বললেন মামুনুল ইসলাম। বিশ্বকাপ বাছাই থেকে সরাসরি ১৬ দেশ এএফসি কাপ বাছাইয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে প্রথম দফা প্লে-অফ বিজয়ী পাঁচ দেশ। দুই ধাপে যোগ্যতা অর্জন করা ২১ দেশের সঙ্গী হবে দ্বিতীয় দফা প্লে-অফ বিজয়ী তিন দেশ। এ ২৪ দেশ নিয়েই এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। দেশগুলো ছয় গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করবে। বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১২ দেশ মূল পর্বে যাবে। সরাসরি এ পর্বের যোগ্যতা অর্জন করা ১২ দেশের সঙ্গে যোগ দেবে বাছাই টপকে আসা ১২ দেশ। ২৪ জাতির আসরটি ২০১৮ সালের মার্চে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.