আইএমইডির প্রতিবেদন
আটশ’ কোটি টাকার ১৫ প্রকল্পে দুর্নীতিসহ ১০ অনিয়ম চিহ্নিত * কাজ সম্পন্ন হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই ভবনে ফাটল, রাস্তায় গর্ত সবার দৃষ্টি যখন পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্পের দিকে, ঠিক তখনই বেরিয়ে এসেছে ছোট ছোট প্রকল্পে বড় দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রায় আটশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও খেয়াল খুশিমতো অর্থ ব্যয়ের ঘটনাসহ ১০ ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন (আইএমইডি) বিভাগের সর্বশেষ সমাপ্ত প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। প্রতিবেদনে যে ১০ ধরনের অনিয়মের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- অসম্পূর্ণ নির্মাণ, নিুমানের কাজ, ক্রয় পরিকল্পনা অনুসরণ না করা, সরকারি কোষাগারে অতিরিক্ত অর্থ জমা না দেয়া এবং নিজের মতো প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা। এছাড়া অপরিকল্পিত প্রকল্প গ্রহণ, ভুল সমীক্ষায় প্রকল্প নেয়া, অনুমোদনের বাইরে অতিরিক্ত নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেয়া, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের (ডিপিপি বা ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপসাল) বাইরে কাজের দরপত্র আহ্বান এবং মেশিন ক্রয় না করে অর্থ খরচ।
যেসব প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়ম পাওয়া গেছে, সেগুলোর আওতায় বিভিন্ন সড়ক, সেতু, কালভার্ট ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া সুগার মিল উন্নয়ন, দুটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন, চট্টগ্রাম বন্দরের বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই ভবন ও রাস্তায় ফাটল ধরেছে, সৃষ্টি হয়েছে গর্তেরও। এমন অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় প্রকল্পগুলোর মূল উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে বলে মনে করছেন পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম শুক্রবার টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, ছোট ছোট প্রকল্পের বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। এসব প্রকল্পের প্রতিবেদন যখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে যায় তখন তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। দু-একটি ক্ষেত্রে হয়তো তদবির করে পার পেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেয়া হয়। তা না হলে যারাই ব্যবস্থা নেবে না, তারাই তো দুর্নীতির দায়ে ফেঁসে যাবে। যখন বড় কোনো দুর্নীতি হয়, তখন মন্ত্রণালয়গুলো দুদকেও পাঠিয়ে দেয় বলে জেনেছি। তাছাড়া অডিট বিভাগ তো আছেই। তবে ছোট প্রকল্পের দিকেও সমান নজর দেয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, দেশে যে ক্রমাগত দুর্নীতি বাড়ছে এটি তারই প্রতিফলন। বড় প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা হয় না বলেই ছোট প্রকল্পেও তার প্রভাব পড়ছে। সরকারের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে এটি হচ্ছে। যারা এগুলোর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে যত বেশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে ততই এসব প্রকল্পের দুর্নীতি কমে আসবে।
প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়ম : আইএমইডির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, খুলনা-যশোর রোড সিটি বাইপাস রোডের মধ্যে দুটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটি ২০০৭ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০১৩ সালে জুনে শেষ হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এতে রাস্তা নির্মাণে নিুমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও গর্ত দেখা দিয়েছে। এছাড়া অনুমোদিত সংশোধিত এডিপির ক্রয় পরিকল্পনা না মেনে সার্বিক ভৌত নির্মাণ কার্যক্রম ৪টি প্যকেজ একীভূত করে ১টি প্যাকেজের আওতায় ২টি লটে সম্পন্ন করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই ক্রয় পরিকল্পনার ব্যত্যয় হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনে। এতে আরও বলা হয়, ক্রয় পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩টি প্যাকেজে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় হলেও ব্যয় দেখানো হয়েছে ৫৪ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা অনুমোদনহীনভাবে ব্যয় দেখানো হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় ৬.৬০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ১৮ কোটি ১০ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু ওই অধিগ্রহণকৃত জমির ওপর স্থাপনা, গাছ ইত্যাদি সম্পদ নিলাম করে ২১ লাখ ৩ হাজার টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু এ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি। প্রকল্প পরিচালক আইএমইডিকে জানান, এ টাকা বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের হাতে জমা আছে। এছাড়া প্রকল্প চলাকালীন গঠিত কমিটির সুপারিশ মানা হয়নি। প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদনের আগেই রাস্তার পেভমেন্টের প্রশস্ততা বৃদ্ধি, বক্স কালভার্টের পরিবর্তে পাইপ কালভার্ট নির্মাণ এবং ব্রিজ নির্মাণের কাজ করা হয়েছে। তাছাড়া কাজ না করেই ঠিকাদারকে বিল প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাস্তার মনুমেন্ট তৈরির জন্য ঠিকাদারকে ১৮ লাখ টাকা বিল দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে কোনো মনুমেন্ট তৈরিই করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে আইএমইডির সাবেক সচিব এবং বর্তমানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবশ্যই নেব। এখন কেন, দশ বছর পর হলেও যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা চাকরিতে না থাকলেও ব্যবস্থা নেয়া যায়। তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট প্রকল্পে ছোট ছোট প্যাকেজে কাজ হয় বলেই কাজের মান ভালো হয় না। এরকম ছোট প্রকল্প না নেয়াই উচিত।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয় ৩১ কোটি ১৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ২০০০ সালের জুলাই থেকে ২০০৯ সালের জুনে শেষ হয় প্রকল্পটি। এ প্রকল্পে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই প্রকল্পের নাম ও অর্থের উৎস পরিবর্তন, নির্মাণ বা পূর্ত কাজে প্রকল্প প্রস্তাবের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়, প্রকল্পের ব্যয়ের হিসাব সঠিকভাবে উল্লেখ না করে আদেশ জারি ও অর্থ অবমুক্তকরণ, সংশোধিত এডিপির প্রস্তাবে ভুল সংশোধন না করেই প্রকল্প বাস্তবায়নসহ নানা অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে আইএমইডি।
বহাদ্দারহাট থেকে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর এপ্রোচ পর্যন্ত সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের বাস্তবায়িত এ প্রকল্পটি যথাযথ সমীক্ষা বা পরিকল্পনা ছাড়াই গ্রহণ করা হয়। ফলে ১ বছরেই প্রকল্পের ব্যয় ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। চারটি ব্রিজ তৈরির কার্যক্রম শুধু পাইলিং করা হয়েছে। ইউটিলিটি শিফটিং ও ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শুরু না করেই দরপত্র আহ্বান করা হয়। ফলে চার বছরেও এ কাজ করা হয়নি। সড়ক প্রশস্তকরণ অংশে মানসম্পন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি। তাছাড়া ঠিকাদার নিয়োগে অতিমাত্রায় বিলম্বসহ নানা ক্রটি দেখা গেছে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে।
এস্টাবলিশমেন্ট অব অ্যান অরগানিক বায়ো-ফার্টিলাইজার প্লান্ট ফ্রম প্রেস-ম্যাড অ্যাট কেকুস সুগার মিলস (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটি ৭১ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালে ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়। এ প্রকল্পটি তৈরির সময়ই পরিকল্পনা শৃংখলা ভঙ্গ করা হয়েছিল। কেননা অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) অর্থ বিভাগের জনবলের ধরন ও সংখ্যা নির্ধারণ সম্পর্কিত কমিটির সুপারিশ নেই। এটি ছাড়াই প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় যাচাই না করেই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় ও নির্মাণ কাজের প্রস্তাব করা হয়। অনুমোদিত বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রকল্প সমাপ্তি প্রতিবেদনেও দেয়া হয়েছে অসম্পূর্ণ তথ্য। যেগুলো সবই আর্থিক শৃংখলার পরিপন্থী বলে আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ট্রেনিং ফর ডিজএডভেনটেজ ইউমেন অন রেডিমেড গার্মেন্ট (আরএমজি) অ্যাট দ্য শহীদ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব উইমেন ট্রেনিং অ্যাকাডেমি, জিরানী, গাজীপুর প্রকল্পটি ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে সমাপ্ত হয়। এতে ব্যয় হয় ২ কোটি ৬ লাখ টাকা। অল্প টাকার এ প্রকল্পে রয়েছে নানা অনিয়ম। প্রকল্পের পিসিআরে অঙ্গভিত্তিক সংস্থানের বিপরীতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তার হিসাব দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি ( ৩ অঙ্গ ব্যতীত)। যে তিনটি অঙ্গের হিসাব দেয়া হয়েছে তার মধ্যে প্রাইভেট সার্ভিস প্রোভাইডার অঙ্গে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ের সংস্থান থাকলেও ব্যয় করা হয়েছে ৬১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, যা আর্থিক শৃংখলার পরিপন্থী। নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে শ্যালো মেশিন বসানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। কিন্তু এ খাতে অর্থ ব্যয় হয়েছে ঠিকই। এ প্রসঙ্গে আইএমইডির কাছে দেয়া প্রকল্প পরিচালকের বক্তব্য হচ্ছে, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড এ খাতের অর্থ কোথায় ব্যয় করেছে তা সংস্থাটি জানায়নি। প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ অডিট ও এক্সটার্নাল অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় অনুমোদিত এক অঙ্গের অর্থ অন্য অঙ্গে ব্যয় করা হয়।
বাগেরহাট জেলার চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনে ব্যয় হয় ২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের জুন মেয়াদে এটি বাস্তবায়িত হয়। এ প্রকল্পে নানা অনিয়মের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রশাসনিক কাম ল্যাবেটরি ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে ভবনটির অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটি নির্মাণে মাটি ভরাট ও পাইলিং ঠিকমতো না হওয়ায় এমনটি হয়েছে।
এছাড়া আইএমইডির মূল্যায়নে যেসব প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়ম পাওয়া গেছে, সেগুলো হচ্ছে- ২০টি জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ও ৬৩টি উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনীয় ব্যয় সাশ্রয়ী স্থাপনা নির্মাণে গবেষণা ও উদ্বুদ্ধকরণ (সংশোধিত), টাঙ্গাইল এলাসিন নামক স্থানে ধলেশ্বরী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, চিটাগাং পোর্ট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন, তিস্তা ব্যারাজ থেকে চণ্ডীমারী পর্যন্ত তিস্তা নদীর বামতীর সংরক্ষণ, প্রকল্প (১ম পর্যায়), মাতামুহুরী সেচ প্রকল্প, জয়পুরহাটস্থ ইন্সটিটিউট অব মাইনিং, মিনারোলজি অ্যান্ড মেটালিক শক্তিশালীকরণ (২য় সংশোধিত), কক্সবাজার বিয়াম ফাউন্ডেশনের আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনসহ বিয়াম ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ এবং এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স (২য় পর্যায়) প্রকল্প।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.