আদালত নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ ঘোষণা করার পর ফ্রান্সের নিস শহরের সৈকতে পারিবারিক এক পিকনিকে বুরকিনি পরে যোগ দিয়েছিলেন দু’নারী। কিন্তু প্রহরায় নিযুক্ত পুলিশ নৌকাযোগে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে সৈকত থেকে চলে যেতে নির্দেশ দেয়। বাধ্য হন ওই দু’নারী ও তাদের পরিবার পিকনিক বাদ দিয়ে চলে যেতে। সচিত্র এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, ওই দু’নারী বুরকিনি ও মাথায় হ্যাট পরে যোগ দিয়েছিলেন পিকনিকে। তারা ভেবেছিলেন আদালত যখন বুরকিনি নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে, জাতিসংঘ সেই রায়কে সমর্থন জানিয়েছে তাহলে তারা এ পোশাক পরে সৈকতে যেতে পারবেন। কিন্তু তাদের সে আশা পূরণ হয় নি। তারা কেবল পিকনিকের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক সে সময়েই তাদের দিকে এগিয়ে যায় পুলিশের বোট। এ সময় সৈকতে থাকা একজন সেই দৃশ্য ধারণ করেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ওই নারীদের দিকে এগিয়ে যায় পুলিশের বোট। তারপর তাদের একজন পুরুষ সদস্য ওই নারীদের সঙ্গে কথা বলে। এরপরই দেখা যায়, ওই নারীরা তাদের সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। সৈকত থেকেই তারা চলে যান। ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তবে আগে যেমন জরিমানা করা হয়েছিল, এবার তেমনটা করা হয়েছে বলে মনে হয় নি। তবে এটা সত্য যে, ওই নারীদের চলে যেতে বলা হয়েছে। এ দৃশ্য ধারণ করেছেন এমন একজন বলেন, পুলিশের নির্দেশ পাওয়ার পর ওই নারীদের দেখা যায় প্রোমেনাডে ডেস অ্যালাইসের দিকে চলে যেতে। সেখানে তারা একটি ট্রাম ধরার আগে একটি ফোনকল করেন। উল্লেখ্য, জুলাই মাসে নিস শহরে বাস্তিল দুর্গের পতন উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে ট্রাক উঠিয়ে দিয়ে কমপক্ষে ৮৬ জনকে হত্যার পর ফ্রান্সে বুরকিনি নিষিদ্ধ করা হয়। ওই হামলায় আহত হয় ৩০৭ জন। ওই নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, এমন কোনো পোশাক পরা যাবে না যার সঙ্গে ধর্মীয় ভাবধারা রয়েছে। গত শুক্রবার ফ্রান্সের সর্বোচ্চ আপিল আদালত কাউন্সিল অব স্টেট নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় দেন। আদালত তার রায়ে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা গুরুতরভাবে ও পরিষ্কারভাবে মৌলিক স্বাধীনতার লঙ্ঘন। কিন্তু আদালতের এ রায় নিস শহর সহ বিভিন্ন শহরে প্রত্যাখ্যান করা হয়। সেখানে নারীদের বুরকিনি পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.