২০১২ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিলেন নিকোলাস সারকোজি। ফরাসিরা তখন ভেবেছিলেন, রাজনীতির মঞ্চে সারকোজির শেষটা তাদের দেখা হয়ে গেছে। কিন্তু ফের নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন সারকোজি। নভেম্বর মাসে দলের মনোনয়ন চাইবেন তিনি। এখন হয়তো তিনি প্রার্থিতার দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে পিছিয়ে আছেন। তবে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের সম্ভাবনা খাটো করে দেখাটা ভুল হবে বলে মনে করছেন অনেক বোদ্ধা। ২৪শে আগস্ট নিকোলাস সারকোজি’র লেখা নতুন একটি বই প্রকাশিত হয়। ‘এভরিথিং ফর ফ্রান্স’ শীর্ষক ওই বইয়ে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থিতার লড়াই করার ঘোষণা দেন তিনি। আপাতদৃষ্টে, দ্য রিপাবলিকান দলের প্রার্থিতা নিশ্চিতের সম্ভাবনা সারকোজির কম বলেই মনে হয়। মধ্যডানপন্থি ভোটারদের মধ্যে হওয়া জরিপে সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেইন জুপ্পের চেয়ে পিছিয়ে আছেন তিনি। আরো ব্যাপক ভোটার গোষ্ঠীর মধ্যে হওয়া জরিপেও এগিয়ে আছেন অ্যালেইন। তারপরও অতীত ইতিহাস ইঙ্গিত দেয় রাজনৈতিক সফল প্রত্যাবর্তনে সিদ্ধহস্ত সারকোজি। ১৯৯৫ সালে পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এদুয়ার্দ ব্যালাডুরকে সমর্থন দেয়ার পর নিজ দলের জন্য মাত্র ১৩ শতাংশ ভোট অর্জন করতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি। এরপর সারকোজিকে বাদের খাতায় রেখেছিলেন অনেকে। তারপরও ৮ বছর বাদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সারকোজি। তবে এবারে তার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে ঝুঁকি হিসেবে যোগ হয়েছে বেশ কয়েকটি বিচারিক তদন্ত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দলের অর্থায়নে নিয়ম ব্যত্যয় করার অভিযোগ। কিছু মামলা এখনও চলছে। তবে এখনও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণ হয়নি। তাছাড়া, সারকোজির হিসাব হলো- ভয়াবহ নানা সন্ত্রাসী হামলার ১৮ মাস পর ডানপন্থি ভোটাররা নিরাপত্তাজনিত ইস্যুগুলোতে হার্ডলাইন অবস্থান চান। সেদিক থেকে আগামী বছর এপ্রিল-মে’তে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের ক্ষমতার শিখরে ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন সারকোজি। কিন্তু তার আগে সারকোজির প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো রিপাবলিকান দলের প্রার্থিতা জেতা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.