ভুটান জাতীয় দলের সঙ্গে এ পর্যন্ত আটটি আন্তজার্তিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। একটি ম্যাচে ড্র’র বিপরীতে সাতটিতেই জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আট ম্যাচে ভুটানের কাছে মাত্র দু’টি গোল হজম করতে হয়েছে। গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ধুঁকতে থাকা দল নিয়েও ভারতের মাটিতে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। অথচ এশিয়ান কাপের প্লে-অফের বাছাই পর্বে নিজেদের মাটিতে এই ভুটানকে নিয়েই কত না ভয় কত না সংশয়! এর পুরোটার জন্যই দায়ী ফুটবলাররা। দিন দিন তাদের ব্যর্থতায় তলানিতে ঠেকেছে এদেশের ফুটবল। সেই তলানি থেকে টেনে তোলার দায়িত্বও তাদের। সেই সুযোগও আজ পাচ্ছে টম সেইন্টফিটের দল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্লে-অফে জিতলে কিছুটা ধাক্কা সামলে ওঠা যাবে। দেশের ফুটবলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচ আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়। থিস্পুতে ফিরতি ম্যাচটি হবে আগামী ১০ই অক্টোবর। মালদ্বীপের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচে ৫-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। থিম্পুতে এএফসি কাপে বাছাই পর্বে হেরে এসেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ফিটনেস আর কমিটমেন্টের অভাবে মামুনুলকে বাদ দিয়ে দল সাজিয়েছেন কোচ টম সেইন্টফিট। দলে রাখেননি মালদ্বীপ ম্যাচে বাজে খেলা ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, ওয়ালী ফয়সালদের। অভিজ্ঞ প্রাণতোষ ইয়ামিন মুন্নাদের ছাড়াই ভুটান ম্যাচে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী এই কোচ। তার দাবি মামুনুলের চেয়ে মাঝমাঠে জাফর ইকবাল অনেক বেশি কার্যকর এবং ফিট। মামুনুলকে বিবেচনায় না আনার আরও কারণ ব্যাখ্যা করেছেন সেইন্টফিট, আমার অনুমতি ছাড়া নৌ বাহিনীর হয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল মামুনুল। ফিরেছে ইনজুরি নিয়ে। ইনজুরির কারণে ওকে মালদ্বীপ ম্যাচে খেলানো যায়নি। সাতদিন একসঙ্গে অনুশীলন করতে পারেনি। এসব কারণে ওকে আমি আমার প্ল্যানে রাখতে পারিনি। শেষ মুহূর্তে দলের সিনিয়র কিছু ফুটবলারকে বাদ দেয়াতে দলে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে টম বলেন, আমার দলে সবাই সমান। যারা আছেন তারা তাদের দেশের জন্য খেলবে। তরুণ জাফর ইকবাল, রুবেল মিয়া, আবদুল্লাহকে নিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কোচ। আর এতেই দুই-তিন গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে বাংলাদেশ। নতুন অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম রানারও একই মত। ‘আমরা যারা দলে আছি তারা প্রত্যেকেই দেশের জন্য খেলবো। আমরা যদি নিজেদের জায়গা থেকে শতভাগ দিতে পারি তাহলে অবশ্যই ভুটানকে হারাতে পারবো। আর দেশের ফুটবলের জন্য ও আমাদের নিজেদের জন্য জয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ’- বলেন নতুন এই অধিনায়ক। অ্যাওয়ে ম্যাচকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ভুটানের কোচ প্রেমা দর্জি। তার মতে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে কোয়ালিফাই করতে হলে এখান থেকে আমাদের পয়েন্ট নিয়ে যেতে হবে। এই প্রস্তুতি নিয়ে আমরা এসেছি। তবে এখানে এসে প্র্যাকটিস মাঠ ও ম্যাচের মূল ভেন্যু নিয়ে সমস্যায় পড়েছে দলটি। ম্যাচের মূল ভেন্যু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চলছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব। তার ওপর বৃষ্টিতো আছেই। দুইয়ে মিলে মাঠের অবস্থা একেবারে নাকাল। এই অবস্থায় ম্যাচের ভেন্যুতে ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারেনি ভুটান। এরপরও ঢাকা থেকে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে চায় তারা। তবে হোম ম্যাচে ভুটানকে কোনো পয়েন্ট দিতে চান না বাংলাদেশের কোচ টম সেইন্টফিট। এ কারণে শুরুতেই তিনি রুখে দিতে চান ভুটানের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার চাংচু ও থিসরিং দর্জিকে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.