ঈদের আগে জাতীয় দলের গতকাল ছিল শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। লাল-সবুজ দলে মাঠে নেমেছিল মাশরাফি, মুশফিকরা। একটু দেরিতে হলেও মাঠে আসেন নয়া পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। তার সঙ্গে যোগ দেন ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসাল। এরই মধ্যে আকাশে মেঘও জমতে শুরু করে। ক্রিকেটারদের ব্যাটিং দেখে খুব একটা সিরিয়াসও মনে হচ্ছিল না। বোঝাই যাচ্ছিল ঈদের আগে ক্যাম্পের শেষ দিনটিতে ছুটির আমেজই পেয়েছে সবাইকে। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে টাইগারদের ঈদের ছুটি। ১০ দিন পর ফিরবেন মাঠে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড সিরিজের চ্যালেঞ্জ নিয়ে। এরই মধ্যে আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে জাতীয় দলও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন নির্বাচকরা। প্রধান কোচ ও নির্বাচক কমিটির সদস্য হাথুরুসিংহে দেশে ফিরলেই শশুরু হবে অনুশীলন। গতকালই ২০ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। আফগানদের বিপক্ষে দল নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেবে না বিসিবি। বিশেষ করে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আফগানদের বিপক্ষে ঝুঁকি একেবারেই নিতে চান না। তিনি বলেন, ‘এখানে পরীক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। এরকম বাজে অভিজ্ঞতা আমাদের কিন্তু আছে। এশিয়া কাপে আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে গিয়েছিলাম। এসব জিনিস আমাদের মাথায় আছে। ওরা অনেক উন্নতি করেছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো খেলছে। এ হিসেবে কোনো দলকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।’ ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে আফগানিস্তান মিশনে শুরু হবে প্রাথমিক দলের ক্যাম্প। ২০১৪ সালে আফগানদের বিপক্ষে এশিয়া কাপে হারের স্মৃতি এখনও ভোলেনি বাংলাদেশ। যে কারণে দেশের মাটিতে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সতর্ক বিসিবি। এছাড়াও আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ হারলে বা সিরিজ হারলে রয়েছে পয়েন্ট হারানোর ভয়। সিরিজ জিতলে তো পয়েন্ট যোগ হবে। এরপর রয়েছে ইংল্যান্ড সিরিজ। সেখানেই সিরিজ জিততে পারলে বাংলাদেশের সামনে আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে ওঠার হাতছানি। তাই কোনোভাবেই পয়েন্ট বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না বিসিবি। সবদিক বিবেচনা করেই বিসিবি চাইছে আফগানদের বিপক্ষে শক্তিশালী দল দিতে। এ বিষয়ে আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘২১ তারিখ আফগানিস্তান আসবে। ২৫ তারিখ প্রথম ম্যাচ। তার আগেই দল দেয়া হবে। তবে দলে কোনো চমক বা কোনো নতুন মুখ রাখার চিন্তা নেই। আমরা চাইছি আমাদের সেরা ও শক্তিশালী দলটাই দিতে।’ অন্যদিকে তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত আইসিসিতে পরীক্ষা দেবে আজ। অন্তত এক সপ্তাহের মধ্যে আইসিসি ফল জানাবে। সেই হিসেবে ঈদের পরই জানা যেতে পারে তাদের ভাগ্যে কী আছে। যদি দুজন মুক্ত হয় তাহলে তাদের জাতীয় দলে ফেরা সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদের। তাই দল নির্বাচনের আগে তাসকিনের মুক্তির বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছেন নির্বাচকরা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.