প্রায় দু’সপ্তাহ ভাববিনিময়ের পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় সিংহ বাদশা ও সিংহী নোভার ‘আনুষ্ঠানিক বিয়ে’ বুধবার দুপুরে। এ বিয়েতে প্রধান অতিথি থাকবেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। আর বরযাত্রী তিন শতাধিক। এর মধ্যে আমন্ত্রিত সাংবাদিকই থাকবেন প্রায় আড়াইশ’। এ ছাড়া চিড়িয়াখানার পৃষ্ঠপোষক, পরিচালনা কমিটির সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও যোগ দেবেন।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর মনজুর মোরশেদ জানান, চিড়িয়াখানার নৈসর্গিক পরিবেশের সঙ্গে দারুণ মানিয়ে নিয়েছে বর বাদশা। দুটি খাঁচায় পাশাপাশি থেকে বাদশা কনে নোভার সঙ্গে ভাববিনিময় করে আসছিল। তাই বিয়ের আয়োজনটা, মানে এক খাঁচায় দেয়ার আনুষ্ঠানিকতাটা সেরে নেয়া হচ্ছে।
চিড়িয়াখানার চিকিৎসক সাহাদাত হোসেন শুভ জানান, বাদশা প্রতিদিন চার কেজি মুরগির মাংস খাচ্ছে। এখনও গরুর মাংস দেয়া হয়নি তাকে। আর একটু বড় হলে গরুর মাংস দেয়া হবে।
চিড়িয়াখানা সূত্র আরও জানায়, ২০০৫ সালের ১৬ জুন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নেয় সিংহ শাবক ‘বর্ষা’ ও ‘নোভা’। দুই বোনের জন্মের কিছুদিন পর তাদের মা ‘লক্ষ্মী’ এবং ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাবা ‘রাজ’ মারা যায়। এরপর আর কোনো নতুন সিংহ চিড়িয়াখানায় আনা হয়নি।
চিড়িয়াখানায় আর কোনো পুরুষ সিংহ না থাকায় ‘বর্ষা’ ও ‘নোভা’র বংশবিস্তার হয়নি। অনেক খোঁজখবর করেও উপযুক্ত পুরুষ সিংহ পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি সংবাদপত্রের মাধ্যমে রংপুর চিড়িয়াখানায় দুটি পুরুষ সিংহ থাকার খবর পায় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
এরপর বর্ষা ও নোভার মধ্য থেকে একটি রংপুর চিড়িয়াখানার সঙ্গে অদলবদল করার ব্যাপারে সমঝোতা হলে বর্ষাকে ২৮ আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ‘রাজা’র সঙ্গী হবে বর্ষা। আর রংপুর থেকে আনা হয় নোভার সঙ্গী বাদশাকে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.