ফের কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কে বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা আসার সময় টেকের হাটের সাধুর ব্রিজ এলাকায় সোমবার রাত ১১টার দিকে আবদুল্লাহ পরিবহনে (ঢাকা মেট্রো ১৪-৭৯২০) ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা যাত্রীদের পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করে মোবাইল, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়ে গেছে। দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন বাসের যাত্রীরা। চলতি পথে যাত্রীবেশে ডাকাতদের গাড়িতে ওঠানোয় পরিবহন যাত্রীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। ডাকাতদের সঙ্গে গাড়ির স্টাফদের যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে। আবদুল্লাহ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে পর্যটকসহ ২১ জন যাত্রী নিয়ে আবদুল্লাহ পরিবহন কুয়াকাটার উদ্দেশে রওনা হয়ে মাওয়া ঘাটে এলে দুই ডাকাত দম্পতি স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বরগুনা জেলার আমতলী যাওয়ার কথা বলে গাড়িতে ওঠে। এ সময় ওই ডাকাত দম্পতি টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের সাথী আরো চারজন যাত্রী উঠবে বলে সুপার ভাইজারকে জানান। আবদুল্লাহ পরিবহন মাওয়া ফেরি পার হয়ে টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ডে এলে চার পুরুষ যাত্রী গাড়িতে ওঠে। বাসটি টেকেরহাট থেকে ছেড়ে সাধুর ব্রিজ এলাকায় এলে যাত্রীবেশী ডাকাতরা পিস্তল ও দেশি অশ্রের মুখে গাড়ির ড্রাইভার ও সুপার ভাইজারকে মারধর করে গাড়িটি চলন্ত অবস্থায় নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় ডাকাতরা গাড়ির ড্রাইভার, সুপার ভাইজারকে গাড়ির পিছনের সিটে নিয়ে আটকে রেখে গাড়িটি নিজেরাই চালাচ্ছিল বলে জানা যায়। ডাকাতরা ওই গাড়িতে থাকা যাত্রীদের মারধর করাসহ তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার, টাকাসহ মালামাল লুট করে পাথুরিয়া নামক এলাকায় নেমে যায়। যাত্রীরা জানান, ডাকাতরা বাসের পিছনে আসা একটি মাইক্রো বাসে চড়ে তড়িগড়ি সটকে পড়ে। এ সময় ডাকাতদলের ড্রাইভার গাড়িটি চলন্ত অবস্থায় একটি ট্রাকের সঙ্গে লাগিয়ে দিলে অল্পের জন্য গাড়িতে থাকা যাত্রীরা বেঁচে যায়। এতে গাড়ির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কুয়াকাটা ডিজিটাল টাউনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনির হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, যাত্রীবেশী ডাকাতরা পিস্তল ও দেশি অস্ত্রের মুখে মহিলা ও শিশু যাত্রীদের জিম্মি করে মারধর করে। এ সময় তার কাছে থাকা একটি দামি মোবাইল সেট, হাতের ঘড়ি ও নগদ ৪ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আবদুল্লাহ পরিবহনের সুপার ভাইজার মো. জহির বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালকসহ তাদের জিম্মি করে গাড়ির স্টাডিং নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এতে বাধা দিলে ডাকাতরা তাদের মারধর করে গাড়ির পিছনের সিটে নিয়ে বসিয়ে রেখে ডাকাতি করে নেমে যায়। তবে চলতি পথে কেন যাত্রী ওঠানো হয়েছে জানতে চাইলে সুপার ভাইজার জহির বলেন, স্বামী স্ত্রী সেজে আমতলী যাবার জন্য অনুরোধ করলে মানবিক কারণে তাদের গাড়িতে উঠানো হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.