অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সম্পর্ক নিয়ে টালিগঞ্জ একরকম নিশ্চিতই ছিল। যদিও তাদের সম্পর্ক নিয়ে দুজনে কেউই প্রকাশ্যে কোনো কথাই বলেননি। কিন্তু সকলেই ভেবেছিলেন দুজনের সম্পর্ক পরিণতির দিকেই যাবে। দুই পরিবারের মধ্যেও এই সম্পর্কের সূত্রেই সখ্যও ছিল। কিন্তু হঠাৎ এক ঝড় এসে সব ওলট পালট করে দিয়েছে। সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটেছে তাই নয়, মিমি জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ তার জীবনে পুরনো চ্যাপ্টার। রাজও বুঝে গিয়েছেন, মিমি তার জীবনে অতীত হয়ে গিয়েছে। টালিগঞ্জের এই যুগলের বিচ্ছেদের পেছনে রয়েছে এক বিদেশি যুবকের উপস্থিতি। পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তের ইউনিট সূত্রেই একথা জানা গেছে। আর এই যুবককে নিয়ে রাজ মিমিকে ক্রমাগত প্রশ্ন করাতে বিরক্ত হয়েছেন মিমি। সেই বিদেশি যুবকের সঙ্গে তুরস্কে উদ্দাম সময় কাটানোর খবর ঠিকই রাজের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। আর কলকাতায় ফেরার পর মিমিকে এ ব্যাপারে চেপে ধরতেই মিমি মুখের উপর রাজকে জানিয়ে দিয়েছেন, হ্যাঁ, সে প্রেমে পড়েছে। এ ব্যাপারে তার কি করার আছে। সে তো আর ভগবান নয়। মিমির আরও জবাব, তুমি তো আমাকে ভগবান করে রেখেছিলে। কিন্তু কে এই তৃতীয় ব্যক্তি? তুরস্কে বিরসার নতুন ছবি ‘গ্যাংস্টার’-এর জন্য মিমি শুটিং করতে ইস্তামবুল গিয়েছিলেন। রাজ নিজেই যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে মিমিকে ছেড়ে এসেছিলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই রাজের বন্ধুরা খবর পাঠাতে শুরু করে, স্থানীয় এক লাইন প্রডিউসারের ছেলে ২০ বছরের মেলি গুলহান কিঝিলকায়ার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন মিমি। এই কিঝিলকায়ার সঙ্গে মিমির আলাপ হয়েছিল বছর খানেক আগে বিরসারই আরেকটি ছবি ‘তুমি আমারই জন্য’-এর তুরস্কে শুটিং করার সময়। সেই সময় দুজনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে মিমির সঙ্গে রাজের প্রবল ঝগড়াও হয়েছিল। কিন্তু কলকাতার ফিরে আসায় পর তা মিটিয়ে নিয়েছিল দুজনে। কিন্তু মিমি কিঝিলকায়াকে ভোলেননি। আর তাই গত মাসে তুরস্কে গিয়ে চুটিয়ে মেলামেশা শুরু করেন তিনি। রাজ মোবাইলে এ ব্যাপারে বারে বারে আপত্তি জানালেও মিমি আমল দেননি। বরং, একসময় ফোন এড়িয়ে গিয়েছেন। এমনকি রাজের মায়ের অসুস্থতারও খবর নেননি মিমি। অবাক হয়েছেন রাজ। কেননা, তার মায়ের সঙ্গে মিমির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই ছিল। মিমির আচরণে হতাশ রাজ মিমির মায়ের কাছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু মিমি তখন তুরস্কে নতুন প্রেমে রীতিমতো মজেছেন। সেই প্রেমের নানা ছবিও এসেছিল রাজের হাতে। দুজনে সেখানে অসংলগ্ন অবস্থায় হোটেলে ঢুকছেন সেই খবরও এসেছিল রাজের কাছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েও রাজ মিমিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন। মিমি প্রথমে স্রেফ বন্ধুুত্ব বলে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও কলকাতায় ফিরে মায়ের প্রশ্নের মুখে ধৈর্য রাখতে পারেননি। মা তাকে শিলিগুড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আর তাতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছিলেন মিমি। এরপর রাজ দেখা করে মিমির কাছে গোটা বিষয়টি জানতে চাইলেও মিমি সম্পর্ক না রাখার কথাই জানিয়ে দিয়েছেন। মিমি তার জীবন থেকে রাজের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়েছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.