এ বছরে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন তিন বৃটিশ বিজ্ঞানী। তারা হলেন- ডেভিড জে থোউলেস, এফ ডানকান এম হ্যালডেন ও জে মাইকেল কস্টারলিৎজ। পদার্থের বিশেষ ঘনীভূত অবস্থা নিয়ে তত্ত্বীয় গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন এই তিন বিজ্ঞানী। দ্য রয়াল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস গতকাল এই তিন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। একাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়, টপোলজিক্যাল দশার রূপান্তর ও পদার্থের টপোলজিক্যাল দশা নিয়ে তত্ত্বীয় গবেষণার কারণে তাদের এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা পদার্থের অদ্ভূত একটি দশায় উপনীত হওয়া সম্পর্কিত নতুন এক বিশ্বের দ্বার উন্মোচন করবে। এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা পদার্থের এই অস্বাভাবিক দশার গবেষণা করতে উচ্চতর গাণিতিক প্রক্রিয়া প্রয়োগ করেছেন। এই উদ্ভাবনকে ভৌত বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্সের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি। খবরে বলা হয়, এ বছরের পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে দুই ভাগে। প্রথম ভাগের পুরস্কার পাবেন বিজ্ঞানী ডেভিড থোউলেস। অন্য ভাগের পুরস্কার পাবেন বাকি দুই বিজ্ঞানী। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বলেছে, এই গবেষণা একটি অজানা দ্বার উন্মুক্ত করেছে। বিজ্ঞানীরা সুপারকন্ডাক্টর, সুপারফ্লুইড বা পাতলা ম্যাগনেটিক ফিল্মের মতো পদার্থের অস্বাভাবিক অবস্থা বা দশা নিয়ে কাজ করেছেন। তাদের এই গবেষণার ফলে আমরা এখন পদার্থের অদ্ভুত দশা নিয়ে কাজ করতে পারবো। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই গবেষণার ফলে ইলেকট্রনিক্সের জন্য উন্নততর উপকরণ তৈরি করা সম্ভব হতে পারে। এর ফলে এখনকার চেয়েও আরো অনেক বেশি গতিশীল কম্পিউটার তৈরি করার সুযোগ তৈরি হতে পারে। এবারে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীর জন্মই বৃটেনে। তাদের মধ্যে ডেভিড থোউলেস বর্তমানে মার্কিন অধিবাসী। তার জন্ম ১৯৩৪ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর। নোবেলজয়ী বিখ্যাত জার্মান-আমেরিকান বিজ্ঞানী হ্যানস বেথের অধীনে তিনি কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনে প্রফেসর এমিরেটাস হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আরেক বিজ্ঞানী ডানকান হ্যালডেনের জন্ম ১৯৫১ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর। তিনি ক্যামব্রিজের ক্রিস্ট’স কলেজে পড়ালেখা করেছেন। বর্তমানে তিনি প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ইউজিন হিগিনস প্রফেসর অব ফিজিক্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। নোবেলজয়ী তৃতীয় বিজ্ঞানী মাইকেল কস্টারলিৎজ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে হ্যারিসন ই ফ্রান্সওয়ার্থ প্রফেসর অব ফিজিক্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক হ্যালডেন বলেছেন, তিনি বিস্মিত ও ধন্য। তিনি বলেন, এই গবেষণার বিষয়টি অনেক পুরনো। কিন্তু এই সময়ে এসে এর নতুন নতুন উদ্ভাবন একে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.