এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দেশের মাঠে ২৩ সদস্যের দলে ঠাঁই হয়নি মামুনুল ইসলামের। তাই রাগে-ক্ষোভে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাবেক এ অধিনায়ক। ওই ম্যাচে ড্র করে এশিয়া কাপে নিজেদের যাত্রাটা কঠিন করে ফেলে বাংলাদেশ। ফিরতি পর্বের ম্যাচ খেলতে ৭ই অক্টোবর ভুটান যাচ্ছেন এমিলি-জাহিদ-জনিরা। ওই ম্যাচের আগে প্রাথমিক দলে আবারো ডাক পড়েছে চট্টগ্রামের এ ফুটবলারের। গতকাল মামুনুলদের অনুশীলন দেখতেই কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে হাজির হন বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। প্রায় ঘণ্টাখানেক অনুশীলন দেখলেন বাফুফে বস। ভুটানের বিরুদ্ধে আসন্ন এ ম্যাচটি বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। হারলে র্যাঙ্কিংয়ে ঘটবে ইতিহাসের শোচনীয় অধঃপতন। একই সঙ্গে আগামী দুই বছরে ফিফা এএফসির বড় কোনো আসরে খেলতে পারবে না লাল-সবুজরা। তাই অস্তিত্বের লড়াইয়ে পরিণত হওয়া এ ম্যাচ সামনে রেখে বেশ সিরিয়াস ফুটবলাররা। ভুটানের বিরুদ্ধে জিতেই দেশে ফিরতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাফুফে সভাপতি। কোচ সেইন্টফিটও সতর্ক এই ম্যাচ ঘিরে। গতকাল সভাপতির উপস্থিতিতে ম্যাচ খেলালেন তিনি। ম্যাচ শেষে গোলে শুট করার অনুশীলনও করিয়েছেন তিনি। দলের হেড কোচ টম সেইন্টফিট এখন ব্যস্ত ফুটবলার বাছাইয়ে। ৩৩ সদস্যের প্রাথমিক দল থেকে ছাঁটাই করতে হবে দশ জনকে। এটা বেশ কঠিন একটি কাজ বলে মনে করেন বেলজিয়ামের এ কোচ। বলেন, ‘দলে অনেক ভালো ফুটবলার আছেন। তাই ২৩ জনকে বেছে নেয়া কঠিন। ম্যাচের জন্য দলে যে ভারসাম্য দরকার, সেটা পাওয়া সবসময় কঠিন। আমাকে ভাবতে হচ্ছে কে পুরো নব্বই মিনিট খেলতে পারবে, কে গোল করতে পারবে, কে চোটে পড়তে পারে, এমন অনেক বিষয়। আমরা এখন ভুটান ম্যাচে স্কোর করার ওপরই অনুশীলনে গুরুত্ব দিচ্ছি। ট্যাকটিক্যাল বিষয়গুলোও থাকবে। আমার কাছে আশার কথা হলো আজ (গতকাল) অনুশীলন ম্যাচে কিছু গোল হয়েছে। লীগে ফরোয়ার্ডরা গোল করাতে তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। এদিকে অনুশীলনে আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলির। গতকাল অনুশীলন শেষে এমিলি বলেন, কোচ কিন্তু আসলে অনেক কিছু চিন্তা করেই আমাদের সিনিয়র কয়েকজন ফুটবলারকে ডেকেছেন। কারণ, ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচটা যদি আমরা হেরে যাই তাহলে অনেকদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবো না। একজন ফুটবলার হিসেবে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা ধাক্কা হবে। আমরা সেই অবস্থা চাই না। দল যে গোল করতে পারছে না সেটি মাথায় রেখেই এগিয়ে যেতে চান এমিলি। বলেন, ‘ফুটবলে আক্রমণভাগের গুরুত্ব সব থেকে বেশি থাকে। যেখানে প্রতিনিয়ত পারফর্ম করতে হয়। প্রতিদিনই গোল করতে হয় একজন স্ট্রাইকারকে। গোল না পেলে ম্যাচ জেতা যাবে না এবং স্ট্রাইকারদের নিয়ে কথা উঠবেই। আশা করি এ অবস্থা আমরা কাটিয়ে উঠবো।’ ভুটানে আপাতত ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে। কিন্তু তাতেও বিচলিত নন এমিলি। সেটি কাটিয়ে উঠে জিততে চান এই ম্যাচ, ‘ভুটানে অনেক ঠান্ডা। আমি বলবো যে এই কন্ডিশনে খেলতে কারও কষ্ট হবার কথা নয়। যদিও দম নিতে একটু সমস্যা হয়, তবুও দুই তিন দিন আগে সেখানে গেলে আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেয়া যাবে। আমি মনে করি এটা বড় কোনো সমস্যা হবে না। আমরা দলকে জেতাবার জন্যই ভুটানে যাবো।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.