গর্ভপাত বন্ধের আইন করার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছেন পোল্যান্ডের নারীরা। তারা প্রস্তাবের প্রতিবাদে কাজ বন্ধ রেখে ধর্মঘট করছেন। রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার হাজার নারী। তাদেরকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু সরকারি এমন প্রস্তাব থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিয়াটা সিডলো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে সমালোচনা করেছেন তিনি তার সঙ্গে একমত নন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, তার দল ল অ্যান্ড জাস্টিস পরিচালিত সরকার বর্তমান গর্ভপাত বিষয়ে যে বাধ্যতামূলক নীতি আছে তা পরিবর্তনে কোনো কাজ করছে না এবং করবে না। তার এমন বক্তব্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার বিষয়ে যে নতুন বিলটি আনা হয়েছে তা আইনে পরিণত হওয়ার সুযোগ অনেকটাই দুর্বল হয়ে গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়েছে, পোল্যান্ডে কিছু ক্ষেত্রে গর্ভপাত অনুমোদিত। যদি কোনো নারী ধর্ষিত হন বা কোনো নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলেন, যদি ভ্রুণ খুব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় অথবা কোনো নারীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে তাহলেই সেখানে গর্ভপাত অনুমোদিত। কিন্তু এবার সব রকম গর্ভপাতকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব উঠেছে। এমন প্রস্তাবকে আন্দোলনকারীরা ‘মধ্যযুগীয়’ ও বর্বর বলে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু বেশ কিছু রাজনীতিক গর্ভপাত বন্ধের এ প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেন। বর্তমানে প্রস্তাবটি রয়েছে দেশটির পার্লামেন্টারি কমিশনে। এটি পার্লামেন্টে তোলা হবে কি না তা নিশ্চিত নয়। এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে গর্ভপাতবিরোধী নাগরিকদের একটি অংশ। কিন্তু এ বিলের বিরোধিতাকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। প্রজনন বিষয়ে নিজেদের অধিকার হারানোর প্রতীক হয়ে তারা কালো কাপড় পরে রাস্তায় নামছেন। সোমবার দিনটিকে তারা ‘ব্লাক মানডে’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.