যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নির্দেশে গোপনে ব্যবহারকারীদের ই-মেইল বার্তায় নজরদারি করে আসছে ইয়াহু। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মার্কিন সরকারের অনুরোধে গত বছর বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করেছিল ইয়াহু। সে সফটওয়্যার ব্যবহার করেই ব্যবহারকারীদের ইনবক্সে আসা সব ই-মেইলে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর অনুসন্ধান চালানো হয়েছিল। তবে কী ধরনের তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। দিন কয়েক আগেই ইয়াহু জানিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রায় ৫০ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য হ্যাকারের হাতে চলে গেছে। অর্ধেক মাস পেরোতে না পেরোতেই গোপন নজরদারির খবর চাউর হলো। রয়টার্সের সে প্রতিবেদনে জানানো হয়, ই-মেইল নজরদারির বিষয়ে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) অথবা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) ইয়াহুকে এ অনুরোধ জানিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে বিবিসিকে দেওয়া এক বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘ইয়াহু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি প্রতিষ্ঠান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সকল আইন মেনে চলে।’ গুগলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা কখনোই এমন অনুরোধ রাখব না। যদি রাখি তাহলে বুঝতে হবে আমরা নিরুপায় ছিলাম।’ ফেসবুক বলেছে, ‘প্রতিবেদনে উল্লিখিত সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের অনুরোধ কখনোই রাখা উচিত নয়। এবং যদি আমরা বাধ্য হই, আমরা এর বিপক্ষে লড়ে যাব।’ টুইটার জানিয়েছে, ‘আমরা এ ধরনের কোনো অনুরোধ পেলে গ্রহণ করতাম না। যদি বাধ্য হতে হতো, তাহলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হতাম।’ মার্কিন সরকারের তথ্য ফাঁসকারী সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন টুইটারে লিখেছিলেন, ‘ইয়াহু ব্যবহার করছেন? আপনি সেখানে যা যা লিখছেন তারা তা গোপনে নজর রাখছে। আজকেই আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিন।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.