চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের একমাত্র শাখা পোস্ট অফিসে চিঠি বিলিকারক না থাকায় এলাকার ৭টি গ্রামের ৩২ হাজার গ্রামবাসী পোস্ট অফিসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পোস্ট মাস্টারকেই বিলি করতে হচ্ছে চিঠি। সে কারণে ওই শাখায় পোস্ট অফিসের অন্যান্য কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বৃটিশ শাসনামলে স্থাপিত পীরপুরকুল্লা শাখা পোস্ট অফিসটি ওই গ্রামে স্থাপিত না হয়ে হয়েছে কুতুবপুর গ্রামে। শুরু থেকেই গ্রামবাসীর দয়ায় তাদের বসতবাড়ির একটি ঘরে বিনা খরচায় পর্যায়ক্রমে শাখা পোস্ট অফিসটির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নিজেদের সুবিধার্থে ওই এলাকার বাসিন্দারা তাদের বসতবাড়ির একটি ঘর শাখা পোস্ট অফিসের জন্য ছেড়ে দিয়ে আসছে। আজ পর্যন্ত পোস্ট অফিসের নিজস্ব কোনো ভবন তৈরি হয়নি। সেখানে আধুনিকতার কোনো ছোঁয়ার পরশ লাগেনি। মান্ধাতার আমলের সবকিছুই সেখানে বিদ্যমান। পীরপুরকুল্লা শাখা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার রাজু আহমেদ জানান, কুতুবপুর গ্রামে মাঝপাড়ার আবু নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেয়া একটি ঘরে বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে তিনি ও রানার শামীম রেজা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। চিঠি বিলিকারক না থাকায় দারুণ ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রামবাসী। অনেক গুরুত্বপূর্ণ চিঠি অনেক পরে বিলি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সুবিধাভোগীরা। তিনি আরো জানান, পোস্ট অফিসের আওতায় পোস্ট-ই-সেন্টার চালু রয়েছে। জনসাধারণের সুবিধার্থে এ ই-সেন্টারে বিভিন্ন সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে পোস্ট-ই-সেন্টার থেকে গ্রাহকরা সুবিধা পাচ্ছেন না। নিরবচ্ছিন্ন সুবিধা পেতে সেখানে একটি সোলার প্যানেল প্রয়োজন। চুয়াডাঙ্গা উপ-বিভাগের পোস্ট অফিস পরিদর্শক শামস্ গোলাম হোসেন বলেন, অবিভাগীয় শাখা পোস্ট অফিস পীরপুরকুল্লা। নিজস্ব অবকাঠামো না থাকায় অত্যন্ত অবহেলায় চলছে এর কার্যক্রম। এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের বেতন বা সম্মানী অত্যন্ত স্বল্প। কিন্তু তাদের অফুরন্ত কাজ করতে হয়। যা অত্যন্ত অমানবিক। তিনি আরো বলেন, খুলনা পোস্ট মাস্টার জেনারেলের অনুমোদন সাপেক্ষে সংস্থাপণ পরিবর্তন করা হয়। তিনি পীরপুরকুল্লা শাখা পোস্ট অফিসে বিলিকারক দ্রুত নিয়োগ দেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের সাহায্য কামনা করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.