স্কুলের পড়াশোনায় তাঁর যত না আগ্রহ, তার চেয়ে ঢের বেশি ছিল ভিডিও গেমস খেলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পা রেখেই ভিডিও গেমসের পোকা ফেলিক্স শ্যালবার্গ সুযোগ খুঁজতে থাকেন আগ্রহের বিষয় নিয়ে কিছু করার। যদিও সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে তাঁর পড়ার বিষয় ছিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস অ্যান্ড টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট । এটা ২০১০ সালের কথা। সে সময়ই তিনি ভিডিও গেমসের টুকটাক ভিডিও বানাতে শুরু করেন। আর তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট ইউটিউবে একটি চ্যানেল চালু করেন। সে চ্যানেলের নাম দেন পিউডিপাই (www.youtube.com/user/PewDiePie)। বছর গড়াতেই ইউটিউবে ভিডিও বানানোর এমনই নেশা তাঁর মাথায় ঢোকে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনাকেই বিদায় জানান। ছয় বছর পর আজ সেই পিউডিপাই নামের আড়ালেই যেন ঢাকা পড়েছে ২৬ বছর বয়সী এই তরুণের নিজের নাম। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার পর পরিবার থেকে তাঁকে সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতেও থেমে থাকেনি তাঁর অগ্রযাত্রা; সে সময় হটডগ বিক্রি করে ভিডিও তৈরির টাকা জোগাড় শুরু করেন ফেলিক্স। ইউটিউবে ভিডিও গেমসের ধারাভাষ্য নিয়ে লেটস প্লে নামে কমেন্ট্রির জন্য দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়ে যান তিনি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কমেডি ভিডিও বানিয়েও দারুণ আলোচিত হন। ২০১২ সালে তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ১০ লাখ গ্রাহক বা সাবস্ক্রাইবারের মাইলফলক স্পর্শ করে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইউটিউবে সর্বোচ্চ সাবস্ক্রাইবার ছিল তাঁর! আর এ কারণেই তাঁর নাম হয়ে ওঠে ‘দ্য ইউটিউব কিং’। ইউটিউবে তিনি এমনই প্রভাবশালী যে ২০১৬ সালে টাইমসাময়িকী তাঁকে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান দেয়। আর হবেনই না কেন, ১ হাজার ৩০০ কোটির বেশিবার তাঁর ভিডিও দেখা হয়েছে বিশ্বজুড়ে। বর্তমানে ৪ কোটি ৮২ লাখের বেশি ভক্ত আছে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে। টুইটারে ফেলিক্সের অনুসারীর সংখ্যা ৮০ লাখেরও বেশি; আর ইনস্টগ্রামেও ১ কোটির বেশি। ফোর্বসসাময়িকীর মতে, ২০১৫ সালে তাঁর আয় ছিল ‘মাত্র’ ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুধু ইউটিউবের মধ্যেই ফেলিক্স তাঁর দুনিয়া আটকে রাখেননি। নিজের অনুসারীদের নিয়ে নানা স্বেচ্ছাসেবামূলক আর দাতব্য কাজ করেন তিনি।
ফেলিক্স শ্যালবার্গ ও স্ত্রী মারজিয়া বিসগনিন
বার্ষিক আয় ১২ মিলিয়ন ডলার ইউটিউবে ভিডিও দেখা ১ হাজার ৩০০ কোটি ভক্ত ৪ কোটি ৮২ লাখ অনুসারী টুইটারে ৮০ লাখ ইনস্টগ্রামে ১ কোটি
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.