ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমান হামলার শিকার এক ব্যক্তির হাত। ছবি: এএফপি
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে বিমান হামলায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ১৪০ জন ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক। বিমান হামলার পর ঘটনাস্থলকে ‘রক্তের হ্রদ’ বলে বর্ণনা করেছেন এক উদ্ধারকারী। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। সানায় গতকাল শনিবার ওই বিমান হামলা হয়। সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতি গোষ্ঠী-নিয়ন্ত্রিত সরকার। অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৌদি আরব। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইয়েমেনে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমের সমন্বয়কারী জেমি ম্যাকগোল্ডরিক। এটাকে তিনি ‘লোমহর্ষক হামলা’ বলে বর্ণনা করেছেন। হামলার দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। হুতি গোষ্ঠী-নিয়ন্ত্রিত সরকার বলছে, তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গালাল আল-রাবিশানের বাবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ওই হামলা হয়।
বিমান হামলার পর ঘটনাস্থলের পরিস্থিতির বর্ণনা দেন মুরাদ তৌফিক নামের এক উদ্ধারকারী। তিনি ঘটনাস্থলকে ‘রক্তের হ্রদ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) বলেছে, মরদেহ সরিয়ে নিতে তারা ৩০০টি ব্যাগ প্রস্তুত করেছে।
আইসিআরসির ভাষ্য, স্থানটিতে কয়েকটি বিমান হামলা হয়েছে। সেখানে শত শত বেসামরিক মানুষ উপস্থিত ছিল।
হামলায় হুতি বিদ্রোহীদের বেশ কিছু সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইয়েমেনে ২০১৪ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হাজারো বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.