ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ সেঞ্চুরি হাঁকালেন ইমরুল কায়েস। আর এতে ভিন্ন এক রেকর্ডের শীর্ষে উঠলো এ টাইগার ব্যাটসম্যানের নাম। ৩০০ রানের টার্গেটে সেঞ্চুরি পাওয়া মাত্র দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান তিনি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩১৩ রানের টার্গেটে ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল। এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ১১৯ বলে ১১২ রান করেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। ক্যারিয়ারে ইমরুলের এটি দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ২০১০ সালে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান বাঁ-হাতি এ ব্যাটসম্যান। আর নিজের দুই সেঞ্চুরির মাঝখানে ইমরুল খেলে নেন ৪৯টি ওয়ানডে। এ সময় ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাটিংক্রমের শীর্ষ তিন-এর কোনো ব্যাটসম্যানকে এত বেশি ম্যাচে সেঞ্চুরিহীন থাকতে দেখা যায়নি। ২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ৪৬ ম্যাচের ব্যবধানে সেঞ্চুরি পেতে দেখা যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান চামু চিভাভাকে। শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান ইমরুল কায়েস। পুরো ইনিংসে ইমরুল হাঁকান ১১টি চার দুটি ছক্কা। বাংলাদেশ ইনিংসের পঞ্চম উইকেটে ১১৮ রানের জুটি গড়েন ইমরুল ও সাকিব আল হাসান। ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে সাকিব করেন ৫৫ বলে ৭৯ রান। রান তাড়া করে বাংলাদেশ দলের ছয় নম্বর কোনো ব্যাটসম্যানের এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০১১-১২ মৌসুমে মিরপুর মাঠে ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে ১০০ রান করেন নাসির হোসেন। আর ২০০২-০৩ মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৯ রান করেন অলক কাপালী। তবে এর প্রত্যেকবারই ম্যাচ শেষে হার দেখে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটি সাকিবের দ্বিতীয় অর্ধশতক। ইংলিশদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ২২.৭৫ গড়ে সাকিবের সংগ্রহ মোট ১৮২ রান। শুক্রবার বল হাতে দুই উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে নিজ মাটিতে এতে সাকিবের শিকার পৌঁছে ১৩৬ উইকেটে। ওয়ানডেতে স্পিনারদের মধ্যে নিজ মাটিতে এর চেয়ে বেশি উইকেট রয়েছে কেবল লঙ্কান অফ স্পিন লিজেন্ড মুত্তিয়া মুরালিধরনের (১৫৪)। আর সব মিলিয়ে তালিকায় সাকিবের অবস্থান পঞ্চম। নিজ মাটিতে সর্বাধিক ১৯৩ উইকেটের কৃতিত্ব প্রোটিয়া পেসার শন পোলকের। পরের দুই স্থানে রয়েছেন অজি পেসার ব্রেট লি (১৬৯) ও গ্লেন ম্যাকগ্রা (১৬০)। দুই সেঞ্চুরির মাঝখানে ব্যবধান ব্যাটসম্যান ম্যাচ রান সর্বো. গড় সাল ইমরুল কায়েস (বাংলাদেশ) ৪৯ ১২৭১ ৯৩ ২৬.৪৭ ২০১০-১৬ চামু চিভাভা (জিম্বাবুয়ে) ৪৬ ১২০৪ ৯৯ ২৬.৭৫ ২০১০-১৬ নূর আলী জাদরান (আফগানিস্তান) ৩১ ৭৩৩ ৬৩ ২৪.৪৩ ২০১০-১৬ আসাদ শফিক (পাকিস্তান) ২৭ ৬৯৭ ৭৮* ২৯.০৪ ২০১০-১৫ জাভেদ আহমেদি (আফগানিস্তান) ২৭ ৬৪৫ ৮১ ২৩.৮৮ ২০১০-১৬ জ্যাক ক্যালিস (দ. আফ্রিকা) ২৬ ৮৮১ ৮৫ ৩৫.২৪ ২০১০-১৪ ইমরান ফরহাদ (পাকিস্তান) ২৫ ৭৪৫ ৯৩ ৩১.০৪ ২০১০-১৩ কাইরান পাওয়েল (ও, ইন্ডিজ) ২৫ ৭৬৬ ৮৩ ৩০.৬৪ ২০১১-১৪ ডোয়াইন স্মিথ (ও.ইন্ডিজ) ২৫ ৬৩১ ৯৭ ২৬.২৯ ২০১২-১৫ কামরান আকমল (পাকিস্তান) ২৩ ৬৭৬ ৮৯ ৩০.৭২ ২০১০-১৩
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.