ই-মেইল কেলেংকারির ঘটনায় হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটনকে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে দ্বিতীয় বিতর্কে এই হুমকি দেন তিনি। সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোরে মিসৌরির সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির এই বিতর্কে মুখোমুখি হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকার দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বক্তব্যে ট্রাম্প জানান, যদি তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাহলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত সার্ভারে ই-ইমেইল আদান-প্রদানের দায়ে হিলারির বিচার করে জেলে পাঠাবেন।
তিনি ঘোষণা দেন, এ ঘটনা তদন্তে একজন স্পেশাল প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়া হবে। কারণ হিসেবে এই বিতর্কিত রিপাবলিকান নেতা বলেন, হিলারি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রধান কূটনীতিক ছিলেন। তার সঙ্গে আমেরিকানদের অনেক স্বার্থ জড়িত। এ সময় ট্রাম্প হিলারিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত।’ জবাবে হিলারি ক্লিনটন জানান, তার মতো মস্তিস্কের মানুষকে জনগণ হোয়াইটহাউজে পাঠাবেন না, এটা ভেবে তিনি স্বস্তি পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, জনগণ ভালো করেই জানে তিনি এই কাজের যোগ্য নন। সুতরাং এমনও হতে পারে তিনিই জেলে যাচ্ছেন। বিতর্কে এদিন সবচেয়ে বেশি ওঠে আসে নারীদের সম্পর্কে ট্রাম্পের করা নোংরা মন্তব্যের একটি টেপ ফাঁসের ঘটনা। এ ধরনের নোংরা মন্তব্যের জন্য বিতর্কে ট্রাম্পকে একাধিকবার বিব্রত হতে দেখা গেছে। তিনি এজন্য আবারও ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘ওটার জন্য আমি গর্বিত নই এবং লজ্জিত।’ তবে আক্রমণের স্বভাবসূলক চরিত্র প্রকাশে ট্রাম্প হিলারির স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের নারী কেলেংকারির বিষয়টি আবারও সামনে আনেন।
তিনি বলেন, ‘বিল ক্লিনটন আমার চেয়েও নারীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন। আমি শুধু শব্দ করে থেমে গেছি। আর সে এ ধরনের শব্দের বাস্তব প্রয়োগ করেছেন।’ ট্রাম্প বলেন, ‘নারীদের অবমাননায় বিল ক্লিনটনের রাজনৈতিক ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা সম্ভব নয়, কেউ পারবেও না।’ তবে হিলারি তার স্বামীর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ট্রাম্পের এ ধরনের মন্তব্যই প্রমাণ করে তিনি হোয়াইটহাউসের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্য নন। প্রায় ৯০ মিনিটের বিতর্কে দুই প্রার্থী নারী, স্বাস্থ্যসেবা, বাণিজ্যনীতি,ই-মেইল কেলেংকারি, পররাষ্ট্রনীতি ও আয়কর ইস্যুতে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন। বিতর্কের শেষটা ছিল এমন- তারা কোন বিষয়ে একমত। তখন তারা দু’জনের পরিবারকে সামনে আনেন। হিলারি ট্রাম্পের সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। আর ট্রাম্প এ সময় বলেন, হিলারি ভালো লড়াই করেছেন। আমাকে ছেড়ে কথা বলেননি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.