আসন্ন মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল-আজহা বা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সাড়ে চার লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক (প্লাজা সেলস ও ডেভলপমেন্ট) এবং বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা বলেন, গত বছরগুলোতে কোরবানি ঈদের আগে ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা দেখা গেছে।সেজন্য আমরা রমজানের পরপরই উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন পরিকল্পনা তৈরি করেছি। আশা করছি, ঈদকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ বাজারে ফ্রিজের যে বাড়তি চাহিদা তৈরি হবে তার সিংহভাগ ওয়ালটন মেটাতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, এই ঈদকে ধরা হয় ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম। আর তাই এবারের কোরবানির ঈদে বিপুল পরিমাণ ফ্রিজ বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছে ওয়ালটন। এজন্য কারখানায় উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। প্লাজা ও পরিবেশকদের কাছে ওয়ালটন পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে ফ্রিজের পর্যাপ্ত মজুদ। ওয়ালটন জানায়, প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে ছয় থেকে সাত হাজার ফ্রিজ। প্লাজা ও পরিবেশকদের কাছে কারখানা থেকে ২৪ ঘণ্টা ফ্রিজ ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত যানবাহন। কারখানায় গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় দেড় লাখ ফ্রিজের মজুদ। যাতে আকস্মিক চাহিদা বৃদ্ধিতেও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়। ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, ওয়ালটনের প্রতি ভোক্তাদের আস্থা বেড়েছে। তাদের বিশ্বাস জন্মেছে যে, আমদানি করা ফ্রিজের তুলনায় দেশে তৈরি ওয়ালটন অনেক উচ্চমানের, দামেও সাশ্রয়ী। তিনি বলেন, ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার সংযোজনের ফলে এরই মধ্যে বিক্রি বেড়েছে নো ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরের। বিশেষ করে ওয়ালটনের ৪৩০ লিটার, ৩৬৫ লিটার, ৩৪৮ লিটার, ৩২০ লিটার, ২৬৫ লিটার, ২৪৪ লিটার, ২৯৫ লিটার ও ২৫৪ লিটার ধারণক্ষমতার ফ্রিজগুলোর চাহিদা বেশি। তিন দরজা বিশিষ্ট ৫২৬ লিটারের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজটি মন কেড়েছে সৌখিন ক্রেতাদের।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.