বর্তমানে বহুল আলোচিত জ্বরের মধ্যে ডেঙ্গু অন্যতম। এডিস মশার কামড়ে এ জ্বর হয়। বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতা, বাতাসে অত্যধিক আর্দ্রতা এ মশার বংশ বিস্তারে সহায়ক। পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দ্রব্যাদি, গাড়ির চাকার টায়ার,
বাড়ির পানি সংগ্রহের ট্যাংক, ফুলের টব ও ফুলদানিতে জমে থাকা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। এদের ডিম ফোটার জন্য পানির প্রয়োজন হয় বলে শুকনো মৌসুমে এ মশা কমে যায়।
লক্ষণ : বিশেষ কোনো লক্ষণ থাকে না, শুধু জ্বর হয়। মাথাব্যথা, চোখের কোঠরে ব্যথা, মাংসপেশি ও শিরায় ব্যথা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল দানা বা র্যাশ উঠা ক্লাসিক্যাাল ডেঙ্গুজরের লক্ষণ।
জ্বর সাধারণত ২-৫ দিন স্থায়ী হয়। জ্বর সেরে যাওয়ার ২-৩ দিনকে ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড বলে। কারণ এ সময় রোগীর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে।
চিকিৎসা : পূর্ণ বিশ্রাম, দিনে সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট জ্বরের জন্য খেতে হবে। বেশি করে পানি ও পানীয় এবং স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে। জ্বর সেরে যাওয়ার পর পর ৩ দিন প্লাটিলেট কাউন্ট ও হেমাটাক্রিট করিয়ে ডাক্তারকে দেখাতে হবে। রক্তক্ষরণ, পেটে প্রচণ্ড ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হলে শিগগির হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে। কখনোই এসপিরিন ও ব্যথানাশক ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না।
প্রতিরোধ : দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার বা রিপিলেন্ট স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.