যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি কিনটনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে সর্বশেষ টিভি বিতর্র্কে হিলারি কোনো মাদক বা মাদকজাতীয় ওষুধ সেবন করেছিলেন। ট্রাম্প পরবর্তী বিতর্কের আগে তাদের দুজনের মাদক পরীক্ষা করানোরও প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে লাস ভেগাসে দুই প্রার্থীর মধ্যে তৃতীয় ও চূড়ান্ত বিতর্ক হওয়ার কথা।
ট্রাম্প নিউ হ্যাম্পশায়ারে শনিবার এক নির্বাচনী সমাবেশে হিলারির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগটি তোলেন। তবে তিনি এমন কোনো প্রমাণ দেননিÑ যা দিয়ে বোঝা যায় আদৌ হিলারি দ্বিতীয় বিতর্কের দিন মদ্যপ ছিলেন কিনা।
ট্রাম্প এমন এক সময় হিলারির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছেনÑ যখন নারীদের সম্পর্কে তিনি বেফাঁস মন্তব্য করছেন এবং নারীরা তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ নিয়ে আসছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার ৬৩ বছর বয়সী এক নারী ক্যাথি হেলার যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। দ্য গার্ডিয়ানকে তিনি বলেছেন, ২০ বছর আগে তাকে জড়িয়ে ধরে জোর করে চুমু খেয়েছিলেন ট্রাম্প। এ নিয়ে রিপাবলিকানদলীয় ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ৯টি অভিযোগ পাওয়া গেল। তবে ট্রাম্প এসব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগকারীরা ‘অসুস্থ ও মিথ্যুক’। নিউ হ্যাম্পশায়ারের সমাবেশে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সর্বশেষ বিতর্কের আগে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি কিনটন মাদকজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করেছেন। তবে তার দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। হিলারি শিবির থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, উপায় না দেখে ট্রাম্প নির্বাচনকে হেয় করার চেষ্টা করছেন।
নিউ হ্যাম্পশায়ারে ট্রাম্প আরও অভিযোগ করেন, হিলারির পক্ষে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত গণমাধ্যম’ আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ‘ভোট কারচুপি’ করার চেষ্টা করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আমেরিকানদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নভেম্বরের নির্বাচনে আসলে গণতন্ত্রের ওপরই ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার মত সৎ ব্যক্তি নন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় লাভবান হচ্ছেন হিলারি। রয়টার্স-ইপসোস পরিচালিক সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের (৩৭ পয়েন্ট) চেয়ে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি (পয়েন্ট ৪৪)। বিবিসির ‘জরিপের ওপর চালানো জরিপ’ জানায়, হিলারিকে শতকরা ৪৯ জন ভোট দিতে চান, ট্রাম্পের পক্ষে ৪০ শতাংশ। আর নিউইয়র্ক টাইমসের জনপ্রিয়তা জরিপে বলা হয়েছে, এখনই নির্বাচন হলে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারির জয়ের সম্ভাবনাই সিংহভাগÑ ৮৯ শতাংশ। আগমী ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.