চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্পেশালিস্ট টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক হয়েছিল সাব্বির রহমান রুম্মানের। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৬ রান করেন তিনি। ধীরে ধীরে নিজেকে প্রমাণ করতে থাকেন। একই বছর নভেম্বরে চট্টগ্রামেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ওয়ানডে অভিষেক হয়। এরই মধ্যে ২৯ ওয়ানডে আর ২৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ২৫ ছুঁই ছুঁই সাব্বির। ব্যাট হাতেই নয়, দলের প্রয়োজনে প্রতিভার প্রমাণ রেখেছেন বল হাতেও। এবার একই মাঠে পূরণ হতে যাচ্ছে তার টেস্ট অভিষেকের স্বপ্নও। মূলত তার টেস্ট দলে জায়গা হয়েছে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং সক্ষমতার কারণেই। তাই নিজের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও মনোযোগী এই তরুণ। তাও কি, অফ আর লেগ স্পিন দুই অস্ত্র নিয়ে তিনি প্রস্তুত ইংলিশদের বিপক্ষে। সাব্বির বলেন, ‘আমি সব সময়ই বোলিং করার ব্যাপারে আগ্রহী। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, টেস্ট, যেটাই হোক না কেন, চেষ্টা করে যাচ্ছি। বোলিংয়ে আরো ভালো কিছু করা যায় কিনা বা নিয়মিত বোলার হতে পারি কিনা। অধিনায়ক যদি বোলিংয়ে আনেন, অবশ্যই আমার শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করবো।’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ৩ উইকেট নেন সাব্বির। হাসিব হামিদ ও জো রুটকে আউট করেছিলেন লেগ স্পিনে, বাঁহাতি মঈন আলিকে অফ স্পিনে। দিয়েছিলেন দলের নেতৃত্বও। তার পরদিনই ডাক পেয়েছেন টেস্ট দলে। যদিও টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তাকে দলে রাখা হয়েছে ব্যাটিংয়ের জন্যই। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাব্বির জানালেন, সুযোগ পেলে অবদান রাখতে চান বল হাতেও। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে আগে শুধু লেগ স্পিনটাই করতেন তিনি। সেই সঙ্গে এখন অফস্পিনটাও করছেন। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে অন্তত ৫ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নিজের এ দুই স্টাইলের বোলিং ক্ষমতা নিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘শুধু লেগস্পিনে বেশি কিছু করতে পারছিলাম না। আমার তো গুগলি বা সেরকম তো অস্ত্র নেই। তাই বোলিংয়ে আরো অবদান রাখতেই অফস্পিনটা শিখেছি। অনেক প্র্যাকটিস করেছি যাতে অপশন বেশি থাকে। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য লেগস্পিনই করবো। বাঁহাতি এলে অফস্পিন। বা দুটি মিশিয়েই করবো, যাতে ব্যাটসম্যানকে দ্বিধায় ফেলা যায়।’ সাব্বিরকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট বলা হলেও লংগার ভার্সনেও তার দক্ষতা কম নয়। সীমিত ওভারের খেলাতে তার ব্যাট হাতে কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও ঘরোয়া চারদিনের ক্রিকেটে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩ সেঞ্চুরি আর ৮ ফিফটি। ৩৫ ম্যাচে ৩৪.৭৮ গড়ে করেছেন ১৮৪০ রানও। তাই টেস্টে দলের প্রয়োজনে তার ব্যাট ভূমিকা রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.