ছয় মাস অনুশীলন ক্যাম্পে থাকার পর বাদ পড়েছেন আট সাঁতারু। আসন্ন নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের জন্য চলমান এ ক্যাম্পে ছিলেন ২৮ জন। সেখান থেকে বাদ পড়ে এখন হতাশ দেশের অন্যতম সেরা সাঁতারু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শাজাহান আলী রনি। তবে এই বাদ পড়া নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ পার্ক তে গুন ও ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে কথার বিস্তর ফারাক পাওয়া গেছে। আগেও এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলাকে বাদ দিয়েছিল সাঁতার ফেডারেশন। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে গৌহাটি-শিলংয়ে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে দুটি স্বর্ণপদক জিতে সাড়া জাগান বাংলাদেশের সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। ফলে পরবর্তী গেমসের জন্য তখন থেকেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন শুরু করেন ফেডারেশনের কর্তারা। সে লক্ষ্যে মার্চ থেকে ২৮ জনকে নিয়ে শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন ক্যাম্প। তবে হঠাৎ করে সেখান থেকে বাদ দেয়া হয় আটজনকে। এরা হলেন- সেনাবাহিনীর ফয়সাল, রনি, মাসুদ ও শান্তা, নৌবাহিনীর কাউসার, পলাশ চৌধুরী ও আশিক এবং বিকেএসপির চুমকি। ২০০৬ সালে কলম্বো এসএ গেমসে ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে স্বর্ণ ও ১০০ মিটার ব্রেস্ট্র স্ট্রোকে রুপা, ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসে ৫০ বেস্ট স্ট্রোকে রূপা গৌহাটিতে ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে ব্রোঞ্জ জেতেন রনি। এখন নাকি তাকে বয়সী সাঁতারু বলেই বাদ দেয়া হয়। শাজাহান আলী রনির কথায়, ‘আমি এখনো দেশের সেরা সাঁতারু। অথচ বয়স বেশি বলে আমাকে ক্যাম্প থেকে বাদ দিয়েছে ফেডারেশন। অথচ ক্যাম্পে অনেক চোটগ্রস্ত সাঁতারুও রয়েছেন। এমনকি গৌহাটি থেকে ফিরে অদ্যাবধি অনুশীলনে না থেকেও ২০ জনের দলে ঠাঁই পেয়েছেন। তাহলে আমি ছয় মাস অনুশীলন করে কী দোষ করলাম।’ এ বিষয়ে কোচ পার্ক তে গুনের বক্তব্য, ‘অর্থ সংকটের জন্যই ফেডারেশন থেকে সাঁতারু কমানোর কথা বলা হয়েছে আমাকে। তাছাড়া বাদ পড়া অনেককেই আমি রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রাখতে পারিনি।’ তবে ভিন্ন কথা শোনালেন সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রফিজউদ্দিন রফিজ। তার কথায়, ‘আগেই আমাদের কথা ছিল তিন মাস অনুশীলনের পর আমরা ক্যাম্পে সাঁতারুদের সংখ্যা কমিয়ে আনবো। সেই মোতাবেক পার্ককে নির্দেশ দিলে তিনি ওই আটজনকে বাদ দিয়ে বাকি ২০ জনের তালিকা আমাদের কাছে ই-মেইল করেছেন। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.