বিশ্বাস করা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার এই স্থানেই রয়েছে নরকের যাওয়ার দরজা। পৌরানিক কাহিনী অনুসারে ট্রাউট রান রোডের এই বনের ধারেই রয়েছে সেই দরজা। সেই কাহিনী অনুযায়ী এখানে আছে সাতটি দরজা, যার সব পার হলেই পাওয়া যাবে নরকের দেখা। অবশ্য দিনের আলোতে এখানে একটি মাত্র দরজাই চোখে পড়ে।
জাপানের বেপ্পু শহরে নয়টি গরম পানির আধার আছে। এর মধ্যে রেড স্লাইম নামের আধারটিকে বলা হয় রক্তাক্ত নরকের পুকুর। এই পুকুরটি স্বয়ং দানবেরা পাহারা দেয় বলে বিশ্বাস করা হয়। অতীতে এই পুকুরের পানির তাপমাত্রা ৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্তও পৌঁছেছে। একসময় এই পুকুরের পানিতে বন্দিদের ডুবিয়ে সাজা দেওয়া হতো।
নরকে যাওয়ার আরেক দরজা বলে মনে করা হয় ইতালির নাপেলসের সিবিল গুহাকে। দুই হাজার বছরের আগের এক মহাকাব্যে এই দরজার বর্ণনা আছে। কথিত আছে, এই গুহার ১০০ দরজা পেরিয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় পৃথিবীর অন্য প্রান্তে।
তুরস্কের দেনিজলি প্রদেশের প্লুটোস গেটের ছবি এটি। সম্প্রতি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে এই দরজা খুঁজে পাওয়া গেছে। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক স্টারবো এই দরজা সম্পর্কে বলেছিলেন, কোনো প্রাণী এই দরজা পেরোনো মাত্রই মৃত্যুর দেখা পাবে।
আয়ারল্যান্ডের ছোট্ট একটি মঠের নাম সেন্ট প্যাট্রিক। ১৫ শতকে এর প্রতিষ্ঠা হয়। প্রচলিত আছে যে, যখন সেন্ট প্যাট্রিক এই ছোট্ট দ্বীপ সফরে আসেন তখন তাঁকে নরকের আযাব দর্শনে পাঠান যীশু। সেই সময় তিনি যে গুহায় ছিলেন সেটিই পরবর্তী সময়ে নরকের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত হয়।