নির্ধারিত দিনের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে সে। মাত্র পাঁচ দিন বয়সে তোলা ছবির জন্য পেয়ে গেল ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুখী শিশুর’ খেতাব। তার নাম ফ্রেয়া। ২০১৪ সালের থ্যাংকসগিভিং ডেতে (২৭ নভেম্বর) জন্ম ফ্রেয়ার। তখন ওজন ছিল মাত্র ১ কেজি ৭০০ গ্রাম। নবজাতকের গড় ওজনের চেয়ে কম। সুস্থ-স্বাভাবিক শিশু সাধারণত আড়াই থেকে পাঁচ কেজি ওজন নিয়ে জন্মায়। ফ্রেয়ার একটি হাসিমুখ ছবি তখন অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। আর তা দেখে অনেক মা-বাবা অনুপ্রেরণা পেলেন, যাঁদের সন্তানেরাও এ রকম অপরিপক্ব অবস্থায় বা কম ওজন নিয়ে জন্মেছে। ডেভিড ও লরেন ভিনজে দম্পতির মেয়ে ফ্রেয়া। চমৎকার হাসির জন্যই সবার মন কেড়েছে সে। অনলাইনে ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুখী শিশু’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দুই সন্তানের জননী লরেন এবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমি সেদিন ফ্রেয়ার সঙ্গে কথা বলছিলাম। জিজ্ঞেস করেছিলাম, বাবার কাছে তোমার ছবি পাঠাতে চাও? যখন ছবিটা তুলছিলাম, সে বেশ বড় একটা হাসি দিল। ছবিটা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেল। তাই সবাইকে দেখাতে চাইলাম।’ লরেন আরও বলেন, ‘ছবিটার একটা কপি হাসপাতালের নার্সদের দিয়েছিলাম। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময় আবার সেখানে গিয়ে দেখি, ফ্রেয়ার ছবিটা তখনো ঝুলছে নার্সদের অবকাশকক্ষের দেয়ালে।’
লরেনের গর্ভধারণ সহজ ছিল না। উচ্চ রক্তচাপজনিত প্রিএক্লাম্পসিয়ার উপসর্গ ধরা পড়ল মাত্র ২৮ সপ্তাহে। গর্ভস্থ শিশুর হৃৎস্পন্দন কমে যাওয়ার খবর পেয়েই তিনি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের পথ বেছে নেন। কম ওজনের শিশু বলে ফ্রেয়ার বাড়তি যত্নআত্তির প্রয়োজন হয়েছিল। এ রকম সন্তান তো অন্য মা-বাবারও হয়—এ কথা ভেবে সবাইকে আশ্বস্ত করার উদ্দেশ্য নিয়েই মেয়ের হাসিমুখ ছবিটি ‘বার্থ উইদাউট ফিয়ার’ বা নির্ভয়ে জন্ম নামের ব্লগে প্রকাশ করেন।
সেই থেকে ফ্রেয়ার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে অনলাইনে। ফেসবুকে এটি অন্তত ৩৫ হাজার বার ‘শেয়ার’ হয়েছে। আর ‘লাইক’ পড়েছে তিন লাখের বেশি। আগামী মাসে তার দ্বিতীয় জন্মবার্ষিকীতেও নিশ্চয়ই বিস্তর আলোচনা হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.