যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে ‘দক্ষিণ এশীয় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ১১তম আসরে অংশগ্রহণ শেষে দু’দিন আগে দেশে ফিরেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। উৎসবে তার অভিনীত ও অমিতাভ রেজা পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রটি উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হয় এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার লাভ করে। এদিকে এরই মধ্যে চঞ্চল অভিনীত ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেছে। দেশের সিনেমাপ্রেমী দর্শকরা বেশ আগ্রহ নিয়ে এটি উপভোগ করছেন। সংস্কৃতি অঙ্গনসহ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা আলোচনায় উঠে আসছে ‘আয়নাবাজি’র প্রশংসা। বিশেষ করে চলচ্চিত্রে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় প্রশংসিত হচ্ছে। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যেমন দর্শককে মুগ্ধ করেছিলেন ঠিক তেমনি ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রেও চঞ্চল ছয়টি ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে সাত বছর পর আবারো দর্শককে মুগ্ধ করেছেন। এরই মধ্যে চার-পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাবও পেয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। কিন্তু এসবের কোনোটিতেই কাজ করার সম্মতি নেই এ অভিনেতার। চঞ্চল বলেন, এরই মধ্যে আমার কাছে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু এসবের একটিরও গল্প আমার ভালো লাগেনি বলে কাজ করা হচ্ছে না। আর এমনভাবে কোনো নতুন ছবির প্রস্তাব ভালো না লাগলে আগামী দু’চার বছরে নতুন কোনো চলচ্চিত্রে আমাকে দেখা যাবে না। কারণ, মনপুরা’র পর আমার অভিনীত ‘আয়নাবাজি’ দেখে দর্শক মুগ্ধ হয়েছেন। ঠিক একই উচ্চতার চলচ্চিত্রের গল্প নিয়ে যদি চলচ্চিত্র নির্মাণ না হয় তাহলে কাজ করবো না আমি। ‘মনপুরা’ কিংবা ‘আয়নাবাজি’তেই না হয় মুগ্ধ হয়ে থাকুক আমার দর্শক। এদিকে প্রায় দুই মাস ধরে ছোট পর্দার কোনো কাজ করছেন না চঞ্চল চৌধুরী। ‘আয়নাবাজি’র শুটিংয়ের সময়ও তিনি পাঁচ-ছয় মাস শুটিং করতে পারেননি। আর এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না ঠিক কবে তিনি ছোট পর্দার জন্য কাজ শুরু করবেন। উল্লেখ্য, সর্বশেষ তিনি গত ৯ই সেপ্টেম্বর নিয়াজ মাহবুবের নির্দেশনায় ‘মার্কামারা’ ঈদ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.