প্রাথমিক প্রাক্কলনের তুলনায়ও কিছুটা বেড়েছে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি। তবে ১ ডলার কমেছে মাথাপিছু আয়।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চূড়ান্ত হিসাবে এমন চিত্র ওঠে এসেছে। গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭.১১ শতাংশে। যদিও প্রাথমিক প্রাক্কলন ছিল ৭.০৫ শতাংশ, যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে সরকারের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
অন্যদিকে সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৫ ডলার। প্রাথমিক হিসাবে বলা হয়েছিল, আয় হবে ১ হাজার ৪৬৬ ডলার। এক্ষেত্রে প্রাথমিক হিসাবের চেয়ে ১ ডলার কম হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক এবং এডিবি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে- গত অর্থবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.১ শতাংশ। এখন বিবিএসের হিসাবটিই চূড়ান্ত।
মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থনৈতিক উন্নতির কারণে বড় ৫০ অর্থনীতির তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ। জিডিপির চলতি মূল্য হিসাবে ৪৩তম দেশ। আর ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ৩৩তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা।
একনেক বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীত করতে সকলকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর জিডিপির এই প্রবৃদ্ধির জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবিএসের হিসাবে, কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৭৯ শতাংশ। শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১.০৯ শতাংশ এবং সেবাখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.২৫ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় ৬.৫৫ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬.০৬ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.০১ শতাংশ।
মাথাপিছু আয় কমে যাওয়া প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, টাকার মান কিছুটা কমে যাওয়ায় মাথাপিছু আয় ১ ডলার কম হয়েছে। আগে প্রতি ডলারের দাম ৭৮ টাকা ১৫ পয়সা ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে এটা ৭৮ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.