-এমনকি যদি সম্ভাব্য একটিমাত্র একীভূত তত্ত্বও থাকে, সেটি কিছু নিয়ম ও সমীকরণের সমন্বয় মাত্র। কিন্তু সেই সমীকরণগুলোকে জীবন্ত করে তুলে তা থেকে একটি মহাবিশ্ব তৈরির জন্য যে স্ফূলিঙ্গ প্রয়োজন, তাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়? গাণিতিক মডেল নির্মাণে বিজ্ঞানের প্রচলিত যে ধারা, তা দিয়ে ওই মডেলকে ব্যাখ্যা করার জন্য মহাবিশ্বের কেন প্রয়োজন- তার উত্তর পাওয়া সম্ভব নয়।
-যেসব প্রধান প্রধান প্রশ্নের মুখে আমরা পড়ে থাকি সেসব প্রশ্নই আজীবন আমাকে মুগ্ধ করে রেখেছে। আমি সেগুলোরই বিজ্ঞানসম্মত উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি। আমার মতোই তুমিও যদি তারাদের দিকে তাকাও এবং যা দেখছ তা অনুভব করতে চাও, মহাবিশ্ব কিসের জোরে অস্তিত্বশীল তা তোমাকেও ভাবিয়ে তুলবে।
-বিজ্ঞান এমন অনুমানের কথা বলে যে অসংখ্য বিভিন্ন ধরনের মহাবিশ্ব স্বতঃস্ফূর্তভাবেই তৈরি হবে এবং তা শূন্য থেকেই। আমরা তার মধ্যে কোনটিতে রয়েছি তা কেবলই একটি দৈবচয়নের বিষয়।
-বিজ্ঞানের গোটা ইতিহাসের উপলব্ধি এটাই যে কোনো ঘটনাই খেয়ালখুশিমতো ঘটে না। প্রতিটি ঘটনাই এর পিছনের একটি নিয়মকে প্রতিফলিত করে। আর সেটা ঐশ্বরিকও হতে পারে, না-ও হতে পারে।
-জ্ঞানের সবচেয়ে বড় শত্রু অজ্ঞতা নয়, বরং জ্ঞানের মায়াই জ্ঞানের সবচেয়ে বড় শত্রু।
-হাজার বছর বা লাখ বছর তো দূরের কথা, আগামী একশ’ বছর পরেই আমরা আর বিপর্যয় এড়ানোর পর্যায়ে থাকতে পারবো না। দীর্ঘমেয়াদে আমরা টিকে থাকতে চাইলে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই, আমাদের মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে হবে।
-মহাবিশ্বে মানুষ ছাড়াও আরো প্রাণের অস্তিত্ব থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। এলিয়েন বা ভিনগ্রহের এমন প্রাণিদের নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করাই ভালো। তারা মানুষের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত হয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ সুখকর হবে না, ঠিক যেমনটি কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পরে হয়েছিল।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.