স্টিফেন হকিংকে নিয়ে আগ্রহ সারা দুনিয়ার মানুষের। সেই আগ্রহ মেটানোর জন্য তাকে নিয়ে যেমন লেখা হয়েছে অনেক বই, তেমনি অনেকেই চেষ্টা করেছেন চলচ্চিত্রের পর্দায় তুলে আনতে তার জীবন ও কর্মকে। সেগুলো সমাদৃতও হয়েছে দর্শক-সমালোচকদের কাছে। হকিংকে নিয়ে তৈরি এমন চারটি চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারির কথা তুলে ধরা হলো এখানে।
দ্য থিওরি অব এভরিথিং (২০১৪)
হকিংয়ের স্ত্রী জেন ওয়াইডের লেখা আত্মজীবনী ‘ট্রাভেলিং টু ইনফিনিটি: মাই লাইফ উইথ স্টিফেন’ অবলম্বনে বৃটিশ চলচ্চিত্রকার জেমস মার্শ তৈরি করেন হকিংকে নিয়ে চলচ্চিত্র ‘দ্য থিওরি অব এভরিথিং’। চলচ্চিত্রটিতে হকিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এডি রেডমেইন, জেনের চরিত্রে ফেলিসিটি জোনস। হকিংয়ের সঙ্গে জেনের প্রথম সাক্ষাৎ থেকে শুরু করে তাদের পরিণয় ও হকিংয়ের সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে তার শারীরিক অক্ষমতার ক্রমবর্ধমান সময়গুলো উঠে এসেছে এই চলচ্চিত্রে।
হকিং (২০১৩)
স্টিফেন হকিংকে নিয়ে ২০১৩ সালে এই ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেন স্টিফেন ফিনিগান। এটি অনেকটাই হকিংয়ের আত্মজীবনীমূলক একটি চলচ্চিত্র। হকিংয়ের ছেলেবেলা থেকে শুরু করে খ্যাতিমান পদার্থবিদ হওয়ার গল্প এতে উঠে এসেছে তার নিজের ভাষ্যেই। হকিংয়ের জীবনকে জানতে চাইলে চমৎকার একটি অবলম্বন এই ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র।
হকিং (২০০৪)
হকিং যখন ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করছেন এবং বিগ ব্যাং তত্ত্ব নিয়ে ঘোরের মধ্যে রয়েছেন, সেই সময়ের গল্প নিয়ে বিবিসি ২০০৪ সালে তৈরি করে এই চলচ্চিত্রটি। এতে হকিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শার্লক হোমস খ্যাত বৃটিশ অভিনেতা বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ। এ চলচ্চিত্রে হকিংয়ের মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সময়কেও তুলে ধরা হয়েছে।
আ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম (১৯৯১)
হকিংয়ের জীবন নিয়ে আরো একটি ডকুমেন্টারির নাম ‘আ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম’। এরল মরিসের পরিচালনায় নির্মিত এ ডকুমেন্টারিতে রয়েছে হকিংয়ের নিজের মুখে বলা জীবনের গল্প। পাশাপাশি হকিংয়ের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, সহপাঠী ও সহকর্মীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমেও উঠে এসেছে হকিং সম্পর্কে না জানা অনেক তথ্য।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.