কিছুদিন আগেও খুব ধীরগতিতে কাজ করছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌটুসী বিশ্বাস। নাটকে খুব একটা দেখা যায়নি তাকে। তবে এ মুহূর্তে আবার ব্যস্ততার গতিময় পথেই হাঁটছেন তিনি। তার অভিনয়ে এখন বেশ কয়েকটি নাটকের কাজ চলছে। সে সঙ্গে উপস্থাপনায়ও নিয়মিত হয়েছেন। সম্প্রতি মৌটুসী বিশ্বাসের উপস্থাপনায় রান্নাবিষয়ক একটি অনুষ্ঠানের প্রচার শুরু হয়েছে এটিএন বাংলায়। প্রতিযোগিতামূলক এ অনুষ্ঠানটির নাম ‘মিজান মালয়েশিয়ান পাম অয়েল সেরা রন্ধনশিল্পী ২০১৬’। চলতি মাসের শুরুর দিকে এর গ্রুমিং রাউন্ড থেকে কাজ শুরু করেছেন মৌটুসী। অনুষ্ঠানটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি আমার ভালো লাগার একটি কাজ। এরই মধ্যে বেশ সাড়া পেয়েছি। আমি নিজেও রান্না করতে খুব ভালোবাসি। এ অনুষ্ঠানটির কাজ করতে গিয়ে অনেক রেসিপির সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। নতুন নতুন রান্নার কৌশল সম্পর্কে অবগত হয়েছি। আসলেই একটি উপভোগ্য কাজ। আরেকটি কথা বলতে চাই, টিভি চ্যানেলে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠানের কাজ আগেও করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে এটা একটু আলাদাই মনে হয়েছে। দর্শকও ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। আশা করছি শেষটাও ভালো হবে। এদিকে সম্প্রতি এটিএন বাংলায় মৌটুসী অভিনীত ‘সাতটি তারার তিমির’ ধারাবাহিকটির প্রচার শেষ হয়েছে। নাটকটিতে কাজ করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। বিশেষত কাজের মধ্যে যে আনন্দ থাকে সেটা পরিপূর্ণভাবে খুঁজে পেয়েছেন। তাই আফসানা মিমির নির্দেশনায় এমন নাটকে আরো কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মৌটুসী বলেন, প্রথমে বলি মিমি আপার নাটক মানে দর্শকের বিশেষ আগ্রহের একটি জায়গা। যেটা ‘সাতটি তারার তিমির’-এ কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। নাটকটি শেষ হয়ে গেছে। খুব খারাপ লাগছে। এতদিন পুরো একটি ইউনিটের সঙ্গে ছিলাম। মনে হয়নি আমরা কোনো ইউনিটের মধ্যে আছি। একটা পরিবারের মতো ছিলাম। আমি মিমি আপার সঙ্গে এমন আরো কাজ করতে চাই। তিনি সত্যিই একজন অসাধারণ মানুষ। এ মুহূর্তে মৌটুসী ব্যস্ত আছেন মাসুদ সেজানের পরিচালনায় ‘চলিতেছে সার্কাস’ ধারাবাহিকের কাজ নিয়ে। সে সঙ্গে শহীদুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় একটি ধারাবাহিকের কাজও শেষ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে বলা চলে, নতুন ও প্রচার চলতি ধারাবাহিক নাটকগুলোর কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত এ অভিনেত্রী। আর এই ধাঁচের নাটকের প্রতিই তার আগ্রহ বেশি। কিন্তু এখনকার ধারাবাহিক নাটক নিয়ে বেশ বিতর্কই শোনা যায় বিভিন্ন মহলে। ভালো নাটক হচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের। এ ব্যাপারে কী ভাবছেন মৌটুসী? তিনি বলেন, দেখুন এ সময়টা এমনিতে আমাদের জন্য খারাপ বললে হয়তো ভুল হবে না। নাটকের অবস্থার কথা যদি বলি অনেকটাই হালছাড়া ভাব। কোনো নাটকের গল্প যেন এগুতে চায় না। চ্যানেল থেকে প্রিভিউ করা এবং অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন জাগে প্রায়ই। অভিনয় শিল্পীদের যা পারিশ্রমিক, অনেক কাজ হাতে না নিলে খরচ পোষানো কঠিন হয়ে যায়। নির্মাতা কিভাবে বাজেট নিয়ন্ত্রণ করবেন, এপিসোড কিভাবে নামাবেন এ নিয়ে একটা যুদ্ধ চলে। চ্যানেল থেকেও আজকাল তাদের পছন্দের শিল্পী নিতে বলা হয়। এতে অনেক শিল্পী ভালো কাজ করতে চেয়েও সুযোগ কম পাচ্ছে। এসব নিয়ে সবার ভাবা উচিত বলে আমি মনে করি। তবে এটা ঠিক, অনেকে বলেন ভালো বাজেট না থাকায় কাজ ভালো হচ্ছে না। আমি বিষয়টার সঙ্গে একমত হলেও আরেকটি বিষয় যোগ করতে চাই। ভালো বাজেটের পাশাপাশি সবার ইচ্ছাটাও থাকতে হবে। অনেক সময় নির্মাতারা শিল্পী নির্বাচন করতে ভুল করেন। কোনো চরিত্রের জন্য কোনো আর্টিস্টকে নিতে হবে সেটা ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেন না। এসবের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তাহলেই আশা করি সব সমস্যা কেটে যাবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.