ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে অসদুপায় অবলম্বন করায় ৯ জন ভর্তিচ্ছুকে আটক করেন দায়িত্বরত শিক্ষকরা। এদের মধ্যে ৭ জনকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি দাবি করে বাকি দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে অভিযুক্তদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাস্তি দিতে অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ বলেন, ৯ জনকে আটক করা হলেও দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মোবাইলে এসএমএস আসলেও মোবাইল হলের বাইরে ছিল। তাই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি না দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আগ্রহী ছিলেন না। ম্যাজিস্ট্রেটের বরাত দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট শুধু শিক্ষার্থীদের শাস্তি দিতে অপারগ। মূলহোতারা কখনও ধরা পড়ে না। তাই ম্যাজিস্ট্রেট শাস্তি না দিয়েই ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। ড. আমজাদ আরও বলেন, অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ৫৪টি ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৪৫টি স্কুল-কলেজসহ মোট ৯৯টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ হাজার ৫৪০টি (বিজ্ঞানে- ১ হাজার ৯৭টি, বিজনেস স্টাডিজে- ৩৯০, মানবিকে- ৫৩টি) আসনের বিপরীতে মোট আবেদনকারী ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ১৭০ জন। জালিয়াতির অভিযোগে আটককৃত শিক্ষার্থীরা- নীলক্ষেত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তারিকুল ইসলাম, কার্জন হল থেকে আজিজুল আবিদ খান রিফাত ও আবদুল্লাহ আল মহসি, কাকরাইল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মিলন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে রাব্বিক হাসান মুন, মোহাম্মদপুর গার্লস স্কুল থেকে তাসকিনুর রায়হান তমাল, মোহাম্মদপুর সেন্ট্রাল কলেজ থেকে তাওহিদুল ইসলাম ও এনামুল হককে আটক করা হয়েছে। পরে তমাল এবং রাব্বিক হাসান মুনের তথ্যের ভিত্তিতে আবু সাঈদ নামে এক জালিয়াত চক্রের সদস্যকে আটক করা হয় এবং তাদের দুজনকে ছেড়ে দেয়। আটককৃতদের কাছে মোবাইল ফোন ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস (কানের ভেতরে) পাওয়া যায়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.