গাজীপুরের একটি কটেজের পরিত্যক্ত বিল্ডিং থেকে ৪ জঙ্গি হুজি সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আটককৃতরা হলো- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউলতিয়া মধ্যপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. খাইরুল ইসলাম (২৬), টাঙ্গাইলের আটপুকুর থানার বিশ্বাস বেতকা এলাকার আজিজুল হকের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম (৪৯), টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার খামারপাড়া এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে মো. শহিদ উল্লাহ (৪৩) ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার সৈয়দপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. গোলাম কিবরিয়া খান (২৫)। তাদের হেফাজত থেকে ১৪টি পেট্রলবোমা, ৪টি ককটেল, ইলেকট্রিক ডিভাইস, চাপাতি ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা একজন জিহাদের মাধ্যমে শহীদ হবার জন্য আরাকান গিয়েছিল। আটক চারজনের দুজন প্রকৌশলী এবং তারা আন্তর্জাতিক প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (আইইউটি) এর সাবেক ছাত্র। চারজনই হরকাতুল জিহাদ (হুজি) সদস্য। এ বিষয়ে গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বিপিএম শুক্রবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, নগরের নান্দুয়াইন এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে জঙ্গলের ভিতর সুফিয়া কটেজের পরিত্যক্ত এক তলা ভবনে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৭টার দিকে অস্ত্র-বোমা, জিহাদী বই লিফলেটসহ তাদের আটক করা হয়। তারা সকলেই হুজি (হরকাতুল জিহাদ) সদস্য। বিভিন্ন জিহাদী বইয়ের উপর ইসলামিক স্টেটের মুখপাত্র শায়খ আল মুজাহীদ আবু মুহাম্মদ আল-আদনানী আশ-শামী (হাফিজাহুল্লাহ) এর বিবৃতি এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণের লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শহিদ উল্লাহ জানিয়েছে সে জিহাদের মাধ্যমে শহীদ হবার লক্ষ্যে আরাকান গিয়েছিল। আটক মো. খাইরুল ইসলাম ও গোলাম কিবরিয়া খান পেশায় প্রকৌশলী। তারা দুজন আইইউটির প্রাক্তন ছাত্র। অপরজন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জিহাদী বই দিয়ে জিহাদের পথে নিয়ে আসে। তারা বিভিন্ন বিস্ফোরক সরঞ্চাম ও গোপন সরঞ্জাম তৈরি করে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাই করে জিহাদের পথে নিয়ে যায়। গাজীপুরে নাশকতা ও ত্রাস সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আস্তানা গেড়েছিল তারা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.