শুল্কমুক্ত জ্বালানি তেল আমদানির অনুমতি পাচ্ছে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকরা। একই সঙ্গে তারা হ্যান্ডলিংয়ের জন্য ৯ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জের অর্থ ফেরত পাবেন। এজন্য বিদ্যুৎ বিভাগ প্রয়োজনীয় অনুমতি দেবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় তেল আমদানির জন্য বর্তমান আইন সংশোধনেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া সরকারি কেন্দ্রের জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডও (পিডিবি) জ্বালানি তেল আমদানির অনুমতি পাচ্ছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে (বিপিসি) বাদ দিয়ে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জ্বালানি আমদানি করা যাবে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে আমদানিকৃত শুল্কমুক্ত জ্বালানি অন্য কোথাও ব্যবহার, বিক্রি বা পাচার হচ্ছে কিনা তা মনিটরের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। ফলে এ খাতে ব্যাপক লুটপাটের আশংকা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে সরকারের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অসাধু কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে তেল এনে তা কালোবাজারে বিক্রি করতে পারে। গভীর সমুদ্র বন্দর থেকেও লাইটার জাহাজের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করতে পারে কোটি কোটি টাকার তেল।
দেশে তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা মোট ৪৫টি। এর মধ্যে সরকারি ১৮ ও বেসরকারি ২৭টি। এসব কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৫৭ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য দৈনিক ৯১৮৩ মেট্রিক টন জ্বালানির প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে সরকারি ২৫৫৮ মেট্রিক টন এবং বেসরকারি কেন্দ্রের জন্য ৬৬২৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে অধিকাংশই ফার্নেস অয়েল। আগামীতে নতুন কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হলে চাহিদা আরও বাড়বে। চাহিদার সিংহভাগ তরল জ্বালানি বেসরকারি পর্যায়ে শুল্কমুক্ত আমদানি হবে।
এক হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৪টি বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ফার্নেস অয়েল আমদানি করে সাড়ে ৯ লাখ টন। আর বিপিসি আমদানি করে ৫ লাখ টন। চলতি ২০১৬ সালের ৪ মাসে বিপিসি আমদানি করেছে ৬০ হাজার টন। অন্যদিকে আইপিপিগুলো আমদানি করে ৪ লাখ টন। বিপিসির এক শীর্ষ কর্মকর্তার প্রশ্ন- তাহলে এই তেল গেল কোথায়? চার মাসে সব বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ টন ফার্নেস অয়েল প্রয়োজন। সেখানে এরই মধ্যে আমদানি করা হয়েছে ৪ লাখ টন। এতে স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে, বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অসৎ কর্তৃপক্ষ মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে ফার্নেস অয়েল আমদানি করে তা খোলাবাজারে বিক্রি করছে। এ অবস্থায় তারা ডিজেল আমদানির সুযোগ পেলে তা বাইরে বিক্রি করবে। বিপিসির ওই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এতে সরকার নিয়মিতভাবে বড় ধরনের রাজ্য হারাবে। বিদ্যুৎ নিয়ে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।
সূত্র জানায়, ২৯ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে ব্যবহারের জন্য তরল জ্বালানি আমদানির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মালিকদের হাতে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পরিচালনার জন্য স্পন্সর কর্তৃক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জ্বালানি তেল (ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল) আমদানির ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইপূর্বক প্রয়োজনীয় অনুমতি প্রদানের জন্য ১৬ অক্টোবর নির্দেশ দেয়া হয় বিদ্যুৎ বিভাগকে। একই সঙ্গে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য তেল আমদানির অনুমতি দেয়া হয় পিডিবিকে। ওই সভাতেই সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় তেল আমদানির জন্য বর্তমান আইন সংশোধনের কথা বলা হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়। সভায় বলা হয়, বর্তমানে দেশে ১০৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে তরল জ্বালানিভিত্তিক (হাই স্পিড ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৫টি। এর মধ্যে সরকারি ১৮টি আর বেসরকারি ২৭টি। শিগগিরই তেলভিত্তিক আরও ১০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আসছে। এজন্য ৩১টি কোম্পানিকে যোগ্য বিবেচিত করা হয়েছে। সরকারি খাতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৩৪৪ মেগাওয়াট আর বেসরকারি খাতে ২ হাজার ৩১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রয়েছে।
সভায় বলা হয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি এক পত্রে বিদ্যুৎ বিভাগকে জানায় নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রাথমিকভাবে বিপিসি তেল সরবরাহ করলেও ভবিষ্যতে এসব প্ল্যান্ট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তেল আমদানি করতে পারবে। ওই সময় বিদ্যুৎ বিভাগকে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ এতদিন এই নির্দেশনা কার্যকর করেনি।
এ কারণে ২৯ সেপ্টেম্বরের সভায় পিডিবির আওতাধীন তরল জ্বালানিভিত্তিক সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেল আমদানির জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে সরবরাহকারী নির্বাচন করে তাদের কাছ থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহের প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু জ্বালানি বিভাগ তা বাস্তবায়ন করেনি। এই অবস্থায় ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় চিঠি দিয়ে আগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়। বিদ্যুৎ বিভাগ ওই চিঠিও আমলে না নিয়ে ১৭ এপ্রিল বিপিসিকে জানিয়ে দেয় তাদের সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি বিপিসি থেকে কিনতে হবে। একইভাবে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকেও আগের মতো তাদের প্রয়োজনীয় ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল বিপিসির কাছ থেকে ক্রয় করতে হবে বলে জানিয়ে দেয়। এই অবস্থায় বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকরা আবারও সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে তাদের আগের আবেদন বিবেচনার অনুরোধ জানায়। বৈঠকে বিদ্যুৎ সচিব জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য তেল আমদানির অনুমতির ক্ষমতা বিদ্যুৎ বিভাগকে দেয়া হলেও পেট্রোলিয়াম আইন-২০১৬ এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন আইন-২০১৬ অনুযায়ী জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষমতা বিপিসির ওপর ন্যস্ত। তাই এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিও নিতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনেও সংশোধনী আনতে হবে। সচিব আরও বলেন, ২০১১ সালের পত্রে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জ্বালানি তেল আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলেও বর্তমানে বিপিসি তাদের স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি অনেক বৃদ্ধি করেছে বিধায় আমদানির ক্ষেত্রে অনাপত্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। তবে বিদ্যুৎ খাতে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়ায় নতুন আইন প্রণয়ন করে বিদ্যুৎ বিভাগ জ্বালানি তেল আমদানি করলে তাদের কোনো আপত্তি থাকবে না বলেও জানায়।
এরপর সভায় সিদ্ধান্ত হয় বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো পরিচালনার জন্য স্পন্সর কর্তৃক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগ যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেবে।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, মূলত সরকারকে চাপে ফেলে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকরা তেল আমদানির অনুমতি বাগিয়ে নিয়েছে। এপ্রিল মাসেও নৌ-ধর্মঘটের কারণে তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ডিজেল আমদানির অনুমতি দিতে সরকারকে চাপ দিয়েছিল। তাদের অভিযোগ এতদিন কিছু কিছু বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিক ফার্নেস অয়েল আমদানি করত। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে আমদানি করা এই তেল তাদের অনেকেই বাইরে বিক্রি করেছে। এরপরও তাদের ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানির অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পেছনে সরকার বছরে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরকার একদিকে কম দামে জ্বালানি সরবরাহ করছে, অপরদিকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনছে। সেই বিদ্যুৎ জনগণের কাছে সরকার বিক্রি করছে অর্ধেকেরও কম মূল্যে। এভাবে কেনাবেচার নামে বছরে মোটা অংকের অর্থ বেরিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে। জনগণের পকেট কেটে এ লোকসানের ভার লাঘবের জন্যই সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দশ জেলায় ৩১ কোম্পানি যোগ্য : দেশের ১০ জেলায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে দেশী-বিদেশী ৩১টি কোম্পানি প্রাথমিকভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়েছে। চাঁদপুর, নোয়াখালী, বাগেরহাট, বগুড়া, জামালপুর, ফেনী, মেঘনাঘাট, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, শান্তাহারে ১০০ মেগাওয়াটের একটি করে ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ৯ আগস্ট এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। মোট ৩৬টি কোম্পানি দরপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে ৫টি কোম্পানির আবেদন বাতিল হয়ে যায়। এর মধ্যে সামিট পাওয়ারের ১টি, রহিম আফরোজ পাওয়ারের ২টি ও এন্ট্রাকো পাওয়ারের ২টি আবেদন বাতিল করে দেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। বাকি ৩১টি কোম্পানি টেকনিক্যালি যোগ্য বিবেচিত হয়েছে। পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই যোগ্য কোম্পানিগুলোর দেয়া ফিন্যান্সিয়াল অফার যাচাই-বাছাই করা হবে। এদের মধ্যে যারা সরকারের কাছে সবচেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে তারা চূড়ান্তভাবে যোগ্য বিবেচিত হবে। সোমবার পিডিবি বাছাইকৃত কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, ২০১৮ সালের মধ্যে এই কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের টার্গেট রয়েছে। এ কারণে দ্রুত যোগ্য কোম্পানীগুলোর সঙ্গে উৎপাদন চুক্তি করা হবে। প্রাথমিক বাছাইপর্বে চাঁদপুর জেলার জন্য ৩টি কোম্পানি যোগ্য বিবেচিত হয়েছে। এগুলো হল রিজেন্ট স্পিনিং পাওয়ার, এক্সেল পাওয়ার ও ডরিন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। নোয়াখালী জেলার জন্য দুটি কোম্পানি যোগ্য বিবেচিত হয়েছে। এ দুটি হল এনার্জি প্রিমা ও ম্যাক্স পাওয়ার লিমিটেড। বাগেরহাট জেলার জন্য যোগ্য হয়েছে ৮টি কোম্পানি। এগুলো হল ইউনাইটেড পাওয়ার লিমিটেড, এক্সেল পাওয়ার, ডরিন পাওয়ার, এক্সসিইএল, সামিট কর্পোরেশন, কমোডটি পাওয়ার, বারাকা পাওয়ার লিমিটেড ও পাওয়ার প্যাক্ট লিমিটেড। বগুড়া জেলার জন্য ২টি কোম্পানি যোগ্য হয়েছে। এই দুটি হল মিডল্যান্ড পাওয়ার ও কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড।
জামালপুর ও ফেনী জেলার জন্য ১টি করে কোম্পানি যোগ্য বিবেচিত হয়েছে। এর মধ্যে জামালপুরে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ আর ফেনীর জন্য শ্রীলংকান কোম্পানি লাকথানবি পাওয়ার। মেঘনাঘাটের ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য যোগ্য ৪টি কোম্পানি হল রিজেন্ট স্পিনিং, পাওয়ার সোর্স, পাওয়ার প্যাক্ট ও প্রিসিসান পাওয়ার লিমিটেড। ঠাকুরগাঁও জেলার দুটি যোগ্য কোম্পানি হল ম্যাক্স পাওয়ার ও এনার্জি প্যাক লিমিটেড। রংপুরের জন্য ৪টি কোম্পানি যোগ্য হয়েছে। এগুলো হল এনার্জি প্যাক, মোশারফ কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস, লাকথানবি ও কনফিডেন্স সিমেন্ট। শান্তাহারে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৪টি কোম্পানি যোগ্য হয়েছে। এগুলো হল বারাকা পাওয়ার, এক্সসিইএল, জেন্ট পাওয়ার ও মিডল্যান্ড পাওয়ার। রহিম আফরোজ পাওয়ার ২টি জেলায়, এন্ট্রাকো সিএনজি ফেনীসহ ২ জেলায় ও সামিট পাওয়ার চাঁদপুরের জন্য আবেদন করলেও তারা নন রেসপনসিভ হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.