গবেষকরা একটি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরি করেছে যাতে স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও থাকবে। ব্যাটারি খুব গরম হয়ে গেলে অগ্নিনির্বাপণ সহায়ক একটি রাসায়নিক পদার্থ বের হওয়া শুরু হবে। টিপিপি নামের রাসায়নিকটি ব্যাটারির ভেতরেই একটি খোসার ভেতরে থাকবে এবং ব্যাটারির তাপমাত্রা যদি ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় তবে আবরণটি গলে ট্রাইফিনাইল ফসফেট (টিপিপি) বেরিয়ে আসবে। পরীক্ষায় ০.৪ সেকেন্ডের মধ্যে ব্যাটারির আগুন নিভে যেতে দেখা গেছে। অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে এমন অনেক পণ্যে লিথিয়াম-আয়নের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের এই আবিষ্কার সম্প্রতি একটি বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে ব্যাটারির ভেতরে খোসা ব্যবহার না করেই টিপিপি রাসায়নিকটি ব্যবহারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির সেল যদি খুব দ্রুত চার্জ করা হয় তবে উৎপাদনের সময় খুব ক্ষুদ্র কোনো সমস্যার কারণেও ব্যাটারিতে শর্টসার্কিট হয়ে আগুন ধরে যেতে পারে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন পরিবহন নিরাপত্তা সংস্থা উড়োজাহাজের কার্গোতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি পরিবহনের বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করে। তবে ব্যাটারিতে আগুন লাগার সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি ছিল স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি নোট ৭ স্মার্টফোনকে ঘিরে। বাজারে আসার পর এই মডেলের অনেক স্মার্টফোনে আগুন লাগার পর স্যামসাং ওই মডেলের ফোন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। যদিও স্যামসাং বিষয়টি নিয়ে তদন্তের কোনো ফল প্রকাশ করেনি, তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে গ্যালাক্সি নোট ৭ ফোনের ব্যাটারির ত্রুটির দিকেই ইঙ্গিত করা হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.