বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণে জড়িত ও ঘটনার ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার যুবলীগের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার বরাকোঠা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মো. ফয়েজ আহম্মেদ (৪৫), যুবলীগের কর্মী একই ইউনিয়নের সাকরাল গ্রামের রুম্মন হোসেন হাওলাদার (২২) ও উজিরপুর পৌরসভার দক্ষিণ মাদার্শী গ্রামের মো. মিজানুর রহমান (২০)। এ তিনজনসহ চারজনকে আসামি করে গত শুক্রবার মামলা করেছে মেয়েটির পরিবার। পুলিশ, এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রী (১৫) পূর্বপরিচিত যুবলীগ কর্মী মিজানুরের সঙ্গে গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় একটি চরে ঘুরতে যায়। দুপুর ১২টার দিকে মিজানুর তাকে সন্ধ্যা নদীর তীরে হোগলাখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির অজান্তে এ ঘটনার ভিডিওচিত্র মুঠোফোনে ধারণ করেন মিজানুরের সহযোগী যুবলীগ নেতা ফয়েজ আহম্মেদ, তাঁর সহযোগী যুবলীগ কর্মী রুম্মন ও মো. আনিস। পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে তাঁরাও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তাতে ব্যর্থ হয়ে মেয়েটিকে মারধর শেষে বিবস্ত্র করে আবার ভিডিও ধারণ করা হয়। মেয়েটির বাবা প্রথম আলোকে বলেন, যুবলীগ নেতা ফয়েজ ও তাঁর সহযোগীরা ২৭ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি জানিয়ে তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মানসম্মানের কথা ভেবে ধারদেনা করে তিনি ২০ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা না দেওয়ায় ২৫ অক্টোবর ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয়। উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, মেয়েটির বাবার মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে মিজানুর, ফয়েজ ও রুম্মনকে আটক করে। এ তিনজনসহ চারজনকে আসামি করে গত শুক্রবার মামলা করেছেন মেয়েটির বাবা। অপর আসামি মো. আনিস সরদারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শুক্রবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে যশোর সদর উপজেলায় কোচিংয়ে পড়তে যাওয়ার পথে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার এক ব্যক্তিকে (৫০) আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। তার বাবা ঢাকায় থাকেন। থানা-পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় কোচিংয়ে পড়তে যাওয়ার জন্য স্কুলছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়। পথে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাকে জোর করে ধরে বাড়ির পাশের জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে হাত-পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা জানাজানি হলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ভয়ে স্কুলছাত্রীটি গত কয়েক দিন কিছুই জানায়নি। গত শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রী তাঁর মাকে ধর্ষণের কথা জানায়। গতকাল দুপুরে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই ব্যক্তিকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ রোববার যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.