স্মার্টওয়াচ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা নেহাত কম ছিল না প্রযুক্তিবিশ্বে। কিন্তু পণ্যটি মনে হয় না, খুব বেশি দিন ক্রেতাদের আকর্ষণ ধরে রাখতে পেরেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দিন দিন দ্রুত হারে চাহিদা কমছে স্মার্টওয়াচের।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত এক বছরে স্মার্টওয়াচের সরবরাহ ৫০ শতাংশের বেশি কমেছে। বিশ্বে যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান স্মার্টওয়াচ তৈরি করে, তাদের মধ্যে কেবল জার্মিনই কিছুটা অগ্রগতি লাভ করেছে, তার পরও তা মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়।
বিশেষজ্ঞ জিতেশ উর্বাণীর মতে, সব ক্রেতা স্মার্টওয়াচের ফিচারগুলোর প্রতি আগ্রহ বোধ করছেন না। পণ্যটির উপযোগিতা সম্বন্ধেও জ্ঞানের যথেষ্ট অভাব আছে ক্রেতাদের মধ্যে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপল, লেনোভো বা স্যামসাং—সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের স্মার্টওয়াচেরই বাজারে বেহাল অবস্থা। এর মধ্যে লেনোভোর অবস্থা তো ভয়াবহ, তাদের বছর বছর চাহিদা হ্রাসের পরিমাণ প্রায় ৭৩ শতাংশ! এবং এই হালচাল দেখেই কি না অ্যাপল তাদের স্মার্টওয়াচগুলোতে আনতে যাচ্ছে পরিবর্তন। লাক্সারি পণ্য নয়, নতুন স্মার্টওয়াচগুলো হবে ফিটনেসভিত্তিক। অর্থাৎ ব্যবহারকারীদের সাঁতার কাটা বা অন্যান্য শরীরচর্চার ব্যাপারে সহায়ক হবে এটি। আসছে ২৮ অক্টোবর বাজারে ছাড়া হবে অ্যাপলের এই স্মার্টওয়াচ।
কিন্তু হঠাৎ কেন বাজারে এই ধস? কারণ আর কিছুই না, প্রথাগত ঘড়ি নির্মাতারা তাদের ঘড়িগুলোকে আরো বেশি প্রযুক্তিমুখী করে তুলেছে। ফলে অ্যাপল বা স্যামসাংয়ের অপেক্ষাকৃত দামি পণ্যগুলো আর ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পারছে না। এমনটাই অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.