আগামী ৮ই নভেম্বর অনুষ্ঠেয় আটলান্টিকের একপাড়ের ভোট উৎসবকে সামনে রেখে আগামী শনিবার অপর পাড়ে হবে এক অভিনব বহ্ন্যুৎসব। ব্রিটেনের এই শহরটির নাম কেন্ট। নগরবাসীর এক অদ্ভুত নেশা হলো তারা বিখ্যাত ব্যক্তি বিশেষ করে সেলিব্রিটি ও রাজনীতিকদের কুশপুত্তলিকা আগুনে পুড়িয়ে উৎসবে যোগ দেয়। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে এটা চলছে। গত বছর তারা বানিয়েছিল ফিফা বস সেফ ব্লাটারের কুশপুত্তলিকা। এক হাতে কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার। অন্য হাতে ফিফা কাপ। ২০১৪ সালে ছিলেন ইইউ প্রেসিডেন্ট জোসে ম্যানুয়েল ব্যারোসে। ২০১৩ সালে কেট হপকিন্স, কার্টুনিস্ট। সমসাময়িক
বিষয়ে কার্টুন করে তিনি প্রায়ই বিতর্কের জন্ম দেন। ২০১২ সালে ছিলেন সাইক্লিস্ট র্যান্স আর্মস্ট্রং, ওই বছরে ড্রাগ কেলেংকারিতে জড়িয়ে ছিলেন। ২০১০ সালে ছিলেন ওয়েন রুনি। ২০০৩ সালে ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। ২০০৭ সালে ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পত্নী চেরি ব্লেয়ার।
কিন্তু মার্কিন ভোটের দিনটিতে এবারে যাকে বেছে নেয়া হয়েছে তিনি একজন রাজনীতিক। তার কুশপুত্তলিকাটি লম্বায় ৩৬ ফুট। ব্রিটিশ টেলিগ্রাফ লিখেছে, তাকে সাজানো হয়েছে মেক্সিকান পোশাকে। কারণ, ওই দেশটিতে তিনি সব থেকে ঘৃণিত। তেলে ভেজা সংবাদপত্রে মোড়ানো থাকবে তাঁর আপাদমস্তক। যে সংগঠনটি প্রতি বছর এই রকম কাণ্ড করে আসছে তাদের সংগঠকরা দাবি করেছেন, এই বছরে কাকে পোড়ানো হবে, এর উত্তরে যার নাম বাছাই করা হয়েছে তার প্রতি সবার সমর্থন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। একেবারে ভাইরাল!
এডেনব্রিজ বোনফায়ার সোসাইটির মুখপাত্র জেনি ফক্স বলেছেন, আমরা প্রায় ১০ জনের নামের তালিকা করেছিলেন, কিন্তু এই ব্যক্তিটিই ভোট পেলেন নিরঙ্কুশ।
এই ব্যক্তটি আর কেউ নন, তিনি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওই মুখপাত্রটি বলেন, আমরা আক্ষরিক অর্থেই ট্রাম্পকে তারই কথার মধ্যে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। কারণ ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘বার্ন ইট ডাউন।’
ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকায় অবশ্য হিলারি ক্লিনটনেরও একটি জায়গা আছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পের এক হাতে হিলারির খণ্ডিত মস্তক।
‘আমরা এটা করেছি এজন্য যে, হিলারি ক্লিনটনও যাতে আমাদের উৎসবের লাইমলাইটে থাকেন। আমরা এমর্মে সন্তুষ্ট যে, উভয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ভাববেন যে, তাদের আমরা একত্রে উপস্থাপন করেছি।’ মন্তব্য করেছেন মুখপাত্র জেনি ফক্স।