পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ডে ইতিহাসের প্রথম প্রথাগত স্পিনার হিসেবে অভিষেক হলো কেশব মহারাজের। আর পার্থের পেস বান্ধব পিচে বল হাতে ভেলকি দেখালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ প্রোটিয়া স্পিনার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাঁ-হাতি স্পিনার কেশব মহারাজ ১৮.২ ওভারের স্পেলে ৫৬ রানে নেন তিন উইকেট। পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ডে অভিষেকে স্পিন বোলিংয়ের নজির রয়েছে সাকুল্যে ৯ ওভারের। পার্থে সর্বশেষ এমন ঘটনায় ১ ওভার বল করেন দক্ষিণ আফ্রিকার অভিষিক্ত খেলোয়াড় ও পার্টটাইম স্পিনার ডিন এলগার। অজি ব্যাটিং ধস, লড়াইয়ে দ.আফ্রিকা স্পোর্টস ডেস্ক প্রথম উইকেটে ১৫৮ রানের জুটিতে প্রোটিয়াদের দাপুটে চেহারাই দেখাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে মোক্ষম সময়ে বল হাতে জ্বলে উঠলেন পেসার ভারনন ফিল্যান্ডার ও অভিষিক্ত স্পিনার কেশব মহারাজ। এতে বিরল ধসে ২৪৪ রানে থেমে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। আর ৭৭/২ সংগ্রহ নিয়ে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে তারা এগিয়ে যায় ১০২ রানে। প্রথম ইনিংসে ‘ডাক’ মারেন প্রোটিয়াদের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। দ্বিতীয় দফায় আমলা করেন ১ রান। টেস্ট ম্যাচে গত ১০ বছরে এমন নৈপুণ্য দেখা যায়নি আমলার। সর্বশেষ ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ডারবান টেস্টে ১ রান করেন হাশিম আমলা। পার্থে আগের দিনের ১০৫/০ সংগ্রহ নিয়ে শুক্রবার খেলার প্রথম ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ পৌঁছে ১৫৮/০-তে। নিজ মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটিতে ১৪ বছরে প্রথমবার শতরানের ঘটনা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এমন সর্বশেষ ঘটনায় ২০০২ সালে সিডনি টেস্টে ২১৯ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ হেইডেন ও জাস্টিন ল্যাঙ্গার। তবে গতকাল পরের ৪৪ রানে ৭ উইকেট খোয়ায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। আর অজিরা ব্যাটিংক্রমের শীর্ষ পাঁচ উইকেট খোয়ায় মাত্র ২৩ রানে। নিজ মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার এমন ব্যাটিং ধসের ঘটনা দেখা গেল ৩৮ বছর পর। সর্বশেষ ১৯৭৮ সালে ব্রিসবেনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমন ভোগান্তি পোহায় অজিরা। নিজের উইকেট দেয়ার আগে মারকুটে ইনিংসে ১০০ বলে ৯৭ রান করেন অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। এতে ওয়ার্নার হাঁকান ১৬টি চার ও একটি ছক্কা। অপর ওপেনার শন মার্শ করেন ৬৩ রান। ২৪৪ রানে ইনিংস গুটায় অস্ট্রেলিয়া। আর শেষ ৮৬ রানে তারা হারায় ১০ উইকেট। প্রোটিয়াদের বল হাতে ৫৬ রানে নেন চার উইকেট পেসার ভারনন ফিল্যান্ডার। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ফিল্যান্ডারের এটি সেরা বোলিং। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে ২০১২ সালে বল হাতে দুই ম্যাচে ৬৭ ওভারের স্পেলে চার উইকেট পান এ প্রোটিয়া পেসার। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৪৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট খোয়ায় তারা। পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ডে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ২৪২। সংক্ষিপ্ত স্কোর টস: দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্যাটিং দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৪২ ও ১০৪/২ ব্যাটিং (এলগার ৪৬*, ডুমিনি ৩৪, হ্যাজেলউড ১/৩১, সিডল ১/১২)। অস্ট্রেলিয়া: ৭০.২ ওভার; ২৪৪ (ওয়ার্নার ৯৭, শন মার্শ ৬৩, ফিল্যান্ডার ৪/৫৬, মহারাজ ৩/৫৬)।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.